Congress in Rajasthan: মুখ্যমন্ত্রী থাকা হবে না গেহলটের? রাহুলের বার্তার পরই রবিবার বসছে বৈঠক
Ashok Gehlot: যেহেতু কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন, অশোক গেহলট, তাই হাই কমান্ডের বার্তা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হতে পারে তাঁকে।
জয়পুর : কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন আসন্ন। অন্যদিকে, এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই আবহেই রাজস্থানে জরুরি বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নাম যতই জোরাল হচ্ছে, ততই জল্পনা বাড়ছে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। গেহলট যদি সত্যিই কংগ্রেস সভাপতি হয়ে যান, তাহলে তো আর মুখ্যমন্ত্রী থাকা হবে না তাঁর! হাই কমান্ডের বার্তা অন্তত তেমনটাই। সেই কারণেই রবিবারে সে রাজ্যে দলের শীর্ষনেতারা বৈঠকে বসছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুরে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট, সচিন পাইলট সহ ওই রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়কেরা। উপস্থিত থাকবেন অজয় মাকেন, মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো বর্ষীয়ান নেতারাও। মূলত মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়েই আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেই হবে সেই বৈঠক।
গেহলট কংগ্রেস প্রধান হলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। সেই দৌড়ে সবার আগে সামনে আসছে রাজস্থানের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের নাম। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধা টুইটে জানিয়েছেন, পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হলে, তাঁর সমর্থন থাকবে। গত তিন দিন ধরে বিধায়কদের অনেকের সঙ্গে পাইলটের কথা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
প্রায় দু দশক পর গান্ধী পরিবারের কোনও নেতা দলের সভাপতি পদ পেতে চলেছেন। সেই দৌড়ে গেহলটের পাশাপাশি শশী থারুরের নামও নিয়েও আলোচনা হচ্ছিল। তবে গেহলটের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। ইতিমধ্যে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেছেন গেহলট। ইতিমধ্যে তিনি রাজস্থানের দলীয় কর্মীদের আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। অর্থাৎ তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার ইচ্ছা যে খুব একটা নেই, তেমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু রাহুল গান্ধী সম্প্রতি যা বলেছেন, তারপর একই সঙ্গে দুটি পদে থাকা সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী উল্লেখ করেছেন, উদয়পুরে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা অক্ষুণ্ণ থাকবে বলেই মনে করছেন তিনি। আদতে বছর তিনেক আগে রাজস্থানের উদয়পুরে দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মেনে চলা হয়।
উল্লেখ্য, নবীন বনাম প্রবীণের লড়াই একসময় দেখা গিয়েছিল গেহলট ও পাইলটের মধ্যে। গেহলটের সঙ্গে ক্ষমতার লড়াইয়ের জেরেই উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়েছিল সচিন পাইলটকে। কেউ কেউ বলেন, এখনও ঠাণ্ডা লড়াই জারি রয়েছে তাঁদের মধ্যে। তাই এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।