Delhi Ordinance: দিল্লির অধ্যাদেশের বিরোধিতা করবে কংগ্রেস, বাদল অধিবেশনে সরব হবে মণিপুর নিয়েও
আগামী বাদল অধিবেশনে রেলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও সরব হবে রাহুল গান্ধীর দল। এ বিষয়ে জয়রাম রমেশ বলেছেন, “রেলে হাই প্রোফাইল উদ্বোধন হয়ে চলেছে। কিন্তু রেলের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। বালেশ্বরের দুর্ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।”
নয়াদিল্লি: দীর্ঘ টালবাহানার পর দিল্লির অধ্যাদেশ দিয়ে অবস্থান জানাল কংগ্রেস। দিল্লি সরকারের উপর কেন্দ্রের চাপানো অধ্যাদেশের বিরোধিতা করা হবে বলে শনিবার জানিয়েছে কংগ্রেস। কেন্দ্রের আনা দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এই ইস্যুতে বার বার আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। তবে দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে আদ আদমি পার্টির দাবি কংগ্রেস সমর্থন করবে কি না, সে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। বদলে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর আঘাত আনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এ বিষয়ের বিরোধিতা করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। বাদল অধিবেশনে সংসদে কী কৌশল নেবে বৈঠক, তা ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। সেখানেই এ বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে জয়রাম রমেশ জানান, সংসদের আগামী অধিবশনে মণিপুরের হিংসা নিয়ে সরব হবে কংগ্রেস। এ বিষয়ে জয়রাম রমেশ বলেছেন, “মণিপুরে আগুন জ্বলছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে নীরবতা বজায় রেখেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষ্ক্রিয়তা বজায় রয়েছে। সে রাজ্যের সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। আমরা এ নিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় আলোচনা চাইব।” আগামী বাদল অধিবেশনে রেলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও সরব হবে রাহুল গান্ধীর দল। এ বিষয়ে জয়রাম রমেশ বলেছেন, “রেলে হাই প্রোফাইল উদ্বোধন হয়ে চলেছে। কিন্তু রেলের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। বালেশ্বরের দুর্ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।” মণিপুর, রেল নিরাপত্তা, দিল্লির অধ্যাদেশের পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি, মহিলা কুস্তিগিরদের উপর হামলা, আদানি ইস্যু নিয়েও সরব হবে কংগ্রেস।
দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে আপকে সমর্থন করার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জয়রাম বলেছেন, “মোদী সরকার সাংবিধানের উপর বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করে যাচ্ছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। সাংবিধানিক এজেন্সির অপব্যবহার করছে। এ সবের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আমরা বিরোধিতা করব।”
প্রসঙ্গত, পটনায় বিরোধীদের বৈঠকেও উঠে এসেছিল দিল্লির অধ্যাদেশ প্রসঙ্গ। এই অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান জানতে চান আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। কংগ্রেস অবস্থান না জানানোয় বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ না দিয়েই বেরিয়ে যান তিনি। কংগ্রেস দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে অবস্থান জানানোর পর আপ কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সে দিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।