গান্ধী পরিবারের হাতে রাশ থাকলে কংগ্রেস পারবে তো? সিবলের জন্মদিনে জোর আলোচনা নৈশভোজের টেবিলে

Congress: কপিল সিবলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন না গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য। উপস্থিত ছলেন অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা। ছিলেন শশী থারুর, ডেরেক ও ব্রায়েন, ওমর আব্দুল্লা প্রমুখ।

গান্ধী পরিবারের হাতে রাশ থাকলে কংগ্রেস পারবে তো? সিবলের জন্মদিনে জোর আলোচনা নৈশভোজের টেবিলে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2021 | 7:17 AM

নয়া দিল্লি: দলের মধ্যে অসন্তোষ নতুন নয়। ২০১-তে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পার‍ছে না কংগ্রেস (Congress)। দলের বর্ষীয়ান নেতারা এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বারবার। কিছুদিন আগে সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠিও লেখেন দলেরই ২৩ জন নেতা। দলের রাশ গান্ধী পরিবারের হাতেই সীমাবদ্ধ থাকাটা যে ঠিক নয়, এমন কথাও কান পাতলে শোনা যায় দলের অন্দরে। আর সোমবারের নৈশভোজে রীতিমতো আলোচনা হল সেই বিষয়ে। সূত্রের খবর,  উপলক্ষ্যটা কপিল সিবলের জন্মদিন হলেও আদতে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলের অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে যেন রাজনৈতিক আলোচনার মঞ্চ হয়ে উঠেছিল নৈশাহারের টেবিল।

কপিল সিবল, পি চিদম্বরম, শশী থারুরের মতো কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতি তো ছিলই। পাশাপাশি ছিলেন অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারাও। ছিলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, এনসিপির শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, শিব সেনার সঞ্জয় রাউত, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আব্দুল্লা। শুধু তাই নয়, এই প্রথমবার বিরোধীদের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আকালি দলকেও। উপস্থিত ছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা নরেশ গুজরাল।

জানা যাচ্ছে, রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয় কপিল সিবলের কথার রেশ ধরেই। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন বর্ষীয়ান এই নেতা। কী ভাবে মোদী সরকারের আমলে প্রত্যেকটা ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সে কথা উল্লেখ করেন সিবল। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াই করার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, বিরোধীদের লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করতে হবে। এরই মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ওমর আব্দুল্লা। তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস মজবুত হলেও বিরোধী জোটের ভিত মজবুত হবে।’ সেই সঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, দলকে পাল্টাতে কী করেছে কংগ্রেস? আর তখনও গান্ধী পরিবারকে সরাসরি আক্রমণ করেন আকালি দলের নেতা নরেশ গুজরাল। তিনি বলেন, যতদিন গান্ধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ততদিন দলকে মজবুত করা কঠিন হবে।

এ দিনের নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন লালু প্রসাদ যাদবও। বিরোধীদের একজোট হওয়ার কথা শোনা যায় তাঁর মুখেও। পি চিদম্বরম বলেন. ‘বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে থাকতে সব আঞ্চলিক দলগুলিকে হাত শক্ত করতে হবে। সম্প্রতি, এই বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে চর্চা বেড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। কিছুদিন আগেই বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক করেছে রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিল্লি গিয়ে অন্যান্য দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এই একই ইস্যুতে। আরও পড়ুন: ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’, আজ রাজ্যসভায় সব সাংসদের উপস্থিতির হুইপ জারি বিজেপির