আবার নতুন প্রজাতি! করোনার C.1.2 ভ্যারিয়েন্টকে ঘিরে উদ্বেগ, ফাঁকি দিতে পারে টিকাকে

Coronavirus New Variant C.1.2: বেশি ভয়ের কারণ হল, ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

আবার নতুন প্রজাতি! করোনার C.1.2 ভ্যারিয়েন্টকে ঘিরে উদ্বেগ, ফাঁকি দিতে পারে টিকাকে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 7:58 PM

নয়া দিল্লি: ঠিক যে সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ একটু একটু করে কাটতে শুরু করেছে। তখনই নয়া বিপদের পদধ্বনি। ডেল্টার পর করোনার আরও একটি বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতির খোঁজ দক্ষিণ আফ্রিকায় মিলেছে বলে খবর। গবেষণা বলছে, করোনারা এই নতুন প্রজাতি আরও বেশি সংক্রামক এবং ভ্যাকসিনের দেওয়া সুরক্ষাকেও হার মানে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সারির দু’টি সংস্থার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নতুন প্রজাতির ভাইরাসের এই বিপজ্জনক দিকটির কথা তুলে ধরেছেন। করোনার এই নতুন প্রজাতির খোঁজ চলতি বছরের মে মাস নাগাদ প্রথমবার মেলে। তারপর থেকেই গবেষণার কাজ চলছিল। এবং যে ফলাফল উঠে এসেছে তা যথেষ্ট চিন্তাজনক। নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটির নাম দেওয়া হয়েছে C.1.2।

তবে গবেষণায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে তার থেকেও বেশি ভয়ের কারণ হল, ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্রের খবর, চিন, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মরিশাস, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইৎজারল্যান্ডের মতো দেশে এই প্রজাতির ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হল, এই তথ্য কেবলই ১৩ অগস্ট পর্যন্ত। তারপরও যে অনেক দেশে এই প্রজাতি ছড়িয়ে থাকতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানে সর্বাধিক সংক্রামিত C.1 প্রজাতি থেকেই অভিযোজিত হয়ে করোনার এই প্রজাতি জন্ম নিয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির অভিযোজনের ক্ষমতা বাকি প্রজাতির থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে, C.1.2 প্রজাতির সংক্রমণের হার যে বেশি, সেই প্রমাণও উঠে এসেছে এই গবেষণায়। মোট সংক্রমণের মধ্যে এই প্রজাতির সংক্রমণের হার মে মাসে যেখানে ০.২ শতাংশ ছিল, সেটাই জুলাই মাসের মধ্যে বেড়ে ২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।

বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্টরা জানাচ্ছেন, বারবার অভিযোজনের ফলে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন বহুবার নিজেকে বদলে ফেলেছে। ফলে পৌনে দু’বছর আগে চিনের উহানে করোনার যে ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে করোনার সাম্প্রতিক প্রজাতির স্পাইক প্রোটিনের মধ্যে বিপুল ফারাক রয়েছে। যার দরুণ ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি সহজেই ভ্যাকসিনের দেওয়া সুরক্ষার দেওয়ালও ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

অর্থাৎ যে সময় করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা এবং সম্ভাবনার দোলাচলে মানুষ ভুগছেন, সেই সময় যেন এই ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল। যদিও এতকিছুর মধ্যে স্বস্তির খবর একটাই, তা হল- এখনও ভারতে করোনার এই নতুন প্রজাতির খোঁজ মেলেনি। তবে যেহেতু এখনও পর্যন্ত কেবল ১৩ অগস্টের মধ্যে সংগৃহীত নমুনার তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাই পুরোপুরি নিশ্চিত কিছুতেই হওয়া যাচ্ছে না। আরও পড়ুন: ভারতকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ মনে করছে তালিবান! ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই’, দিচ্ছে আশ্বাসও