Smart India Hackathon 2022: নিত্যনতুন গবেষণাকে পাথেয় করেই এগোবে দেশ, তরুণ সমাজের উদ্ভাবনী শক্তিতেই জোর মোদীর

Smart India Hackathon 2022: ২০১৭ সালেই প্রথম পথচলা শুরু স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের।এবার এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হল চলেছে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

Smart India Hackathon 2022: নিত্যনতুন গবেষণাকে পাথেয় করেই এগোবে দেশ, তরুণ সমাজের উদ্ভাবনী শক্তিতেই জোর মোদীর
ফাইল ছবি (সৌজন্যে : PTI )
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 11:51 PM

নয়া দিল্লি: স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের (Smart India Hackathon 2022) সূচনার পর থেকে প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Prime Minister Narendra Modi)। পূর্ব নির্ধারিত সূচী মেনে এবারও যে মোদী পড়ুয়াদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন নিত্যনতুন গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সমাজ কীভাবে আরও এগিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে নতুন দিশা দেখাতে দেখা যায় মোদীকে। 

প্রসঙ্গত, স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের গ্র্যান্ড ফিনালেতে এবারে ১৫ হাজারের বেশি পড়ুয়াকে অংশ নিতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২২-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, “গবেষণা এবং নিত্যনতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়েই সামাজে জীবনযাপনের নতুন পথ খুলতে হবে। গবেষণা এবং নিত্যনতুন উদ্ভাবনেই জীবনযাপনের পাথেয় করতে হবে। এর জন্য নতুন উদ্ভাবন এবং নতুন ধারণাকে সর্বদা সম্মানও করতে হবে।” একইসঙ্গে দেশের উদ্ভাবনী শক্তির জন্য দেশের যুব সমাজ কীভাবে নতুন দিশা দেখাচ্ছে এদিন সেকথাও বারবার মনে করান মোদী। 

এবার এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হল চলেছে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। প্রতিযোগিতার জন্য শিক্ষামন্ত্রকের তরফে বেছে নেওয়া হয়েছিল ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা আগমীতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক, দফতর, শিল্প ও অন্যান্য সংস্থার নানা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পড়ুয়াদের তাদের উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে পারবেন। মোদীর দাবি, বিগত আট বছরে পেটেন্টের পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে এবং ইউনিকর্নের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন পাবলিক বিনিয়োগের একটি চমৎকার দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মোদী। 

এদিকে দেশের তরুণ সমাজের উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও শান দিতে স্বাধীনতা দিবসেই ‘জয় অনুসন্ধানের’ ডাক দিয়েছিলেন মোদী। এদিন সেই প্রসঙ্গেরেও অবতারণ করে মোদী বলেন তরুণ উদ্ভাবকরাই তাঁর দেখানো ‘জয় অনুসন্ধানের’ ধ্বজা উড়িয়ে নিয়ে চলেছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই প্রথম পথচলা শুরু স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের। নানাবিধি সামাজিক সমস্যার মূলে পৌঁছে তা সমাধানের জন্য পড়ুয়াদের চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্দেশেই এই প্রতিযোগিতার পথচলা শুরু। নানাবিধ উদ্ভাবনী সংস্কৃতি, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার সঙ্গেই গতে বাধা পথের বাইরে বেরিয়ে যাতে শিক্ষার্থীরা নতুন করে ভাবতে পারে সে দিকটিও দেখা হয় এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে।