শিকেয় করোনা বিধি, ধর্মীয় নেতার মৃত্যুতে অরক্ষিত মুখেই হাজির হাজারো
জমায়েতে ঠাসাঠাসি ভিড়, কার্যত নিঃশ্বাস নেওয়ারও জায়গা নেই বললেই চলে। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে এই ঘটনায় উদ্বীগ্ন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞ মহল।
বাদাউন: দেশ করোনার (COVID) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত। একাধিক রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় জারি হয়েছে লকডাউন। বেশ কয়েকটি লকডাউন আংশিক লকডাউন ও কার্ফুর পথে হেঁটেছে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েত এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু লকডাউনেই উত্তর প্রদেশে দেখা গেল ভয়ঙ্কর ছবি। সেখানে করোনাবিধির তোয়াক্কা না করেই ধর্মীয় নেতা আবদুল হামিদ মহম্মদ সালিমুল কাদরির মৃত্যুতে রাস্তায় নামলের হাজারো।
ঠাসাঠাসি ভিড়ে শিকেয় সামাজিক দূরত্ব। হাজারোর ভিড়ে মাস্ক ছিল স্রেফ কয়েকজনের মুখে। বাদাউন জেলায় লকডাউন উপেক্ষা করেই চলল এই জমায়েত। যা থেকে প্রবল হচ্ছে সুপার-স্প্রেডার তৈরির সম্ভাবনা। তাই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ইতিমধ্যেই এফাইআর দায়ের করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। জানা গিয়েছে, আবদুল হামিদ মহম্মদ সালিমুল কাদরির দেহ একটি মসজিদে সকলের উদ্দেশে রাখা ছিল। তা দেখতেই জমায়েত হয়।
জমায়েতে ঠাসাঠাসি ভিড়, কার্যত নিঃশ্বাস নেওয়ারও জায়গা নেই বললেই চলে। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে এই ঘটনায় উদ্বীগ্ন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞ মহল। সম্পূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে কোনও তথ্যই ছিল না প্রশাসনের কাছে। বাদাউন থানার সুপার ইন্টিন্ডেন্ট সঙ্কল্প শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মহামারী আইরে মামলা দায়ের হয়েছে। কঠোর পদক্ষেপ করার কাজ চলছে। ভিডিয়োর মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
করোনাবিধি কায়েম করতে আগেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। সেখানে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে স্রেফ ২০ জনের জমায়েতের অনুমতি রয়েছে। এ ছাড়া মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরলে প্রথমবার ১,০০০ টাকা ও দ্বিতীয়বার ১০,০০০ টাকা জরিমানা নেয় পুলিশ। তারপরেও করোনাবিধি উপেক্ষা করে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে মানুষ। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: বাড়ির দোরগোড়ায় বিনামূল্যে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পৌঁছে দেবে ওলা