AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

COVID Task Force on Omicron: ‘দৈনিক ১৪ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন’, বিদেশে সংক্রমণের গ্রাফ দেখেই সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

Omicron Spread in India: কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডঃ ভিকে পাল (VK Paul) বলেন, "আমরা যদি ব্রিটেনের সংক্রমণের হার দেখি, তবে দেখা যাবে, বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারতেও যদি একইধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তবে আমাদের দেশের জনসংখ্যর কথা মাথায় রেখে দৈনিক ১৪ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।"

COVID Task Force on Omicron: 'দৈনিক ১৪ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন', বিদেশে সংক্রমণের গ্রাফ দেখেই সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া পৌঁছতে পারে ১৪ লক্ষে। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2021 | 2:16 PM
Share

নয়া দিল্লি: কর্নাটকের এক বিদেশ ফেরত যাত্রীর দেহে প্রথম ধরা পড়েছিল ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণ। কয়েক সপ্তাহ পার হতেই একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সেই সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। এই পরিস্থিতিতেই আরও উদ্বেগের কথা শোনাল কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্স (COVID Task Force)। শুক্রবারই টাস্ক ফোর্সের তরফে জানানো হয়, বর্তমানে ব্রিটেন(UK) ও ফ্রান্সে (France) যে বিপুল সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, তার ছোঁয়া ভারতে এসে পৌছলে, ফের দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন।

দেশের ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্ট, আগামিদিনে কী হতে পারে, সে প্রসঙ্গে কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডঃ ভিকে পাল (VK Paul) বলেন, “আমরা যদি ব্রিটেনের সংক্রমণের হার দেখি, তবে দেখা যাবে, বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারতেও যদি একইধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তবে আমাদের দেশের জনসংখ্যর কথা মাথায় রেখে দৈনিক ১৪ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। ফ্রান্সেই দৈনিক ৬৫ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, একই ধরনের সংক্রমণ ভারতে ছড়িয়ে পড়লে, আমাদের জনসংখ্যার হিসাবে দৈনিক ১৩ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন।”

বর্তমানে ব্রিটেনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ হাজারে পৌঁছেছে, এর মধ্যে ২.৪ শতাংশই আবার ওমিক্রন সংক্রমণ। ইউরোপে ডেল্টার ঢেউ বয়ে যাওয়া এবং ৮০ শতাংশ মানুষই আংশিক টিকাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও যে হারে সংক্রমিত হচ্ছেন, তাতে ওই মহাদেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেই জানান ডঃ ভিকে পাল।

সংক্রমণ এড়াতে মাস্কের ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা সহ অন্যান্য কোভিড আচরণবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। সাধারণ নাগরিকদের বিনা প্রয়োজনে বাইরে বেরানো যতটা সম্ভব এড়ানো যায়, সেই পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। নববর্ষেও ভিড় এবং জমায়েত থেকে দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যে হারে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, তা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকেও হার মানিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ডেল্টার থেকেও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকেও হার মানিয়ে দেবে ওমিক্রন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।”

কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্য সচিব আরও জানিয়েছেন, “কোনও জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বা পজিটিভিটি রেট বাড়তে শুরু করে, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় স্তরে ছোট ছোট এলাকাকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।”

আরও পড়ুন: New Omicron Cases: তিনটি ডোজের পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত মুম্বইয়ের যুবক, টিকাকে হার মানাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট?