Maharashtra: জ্বলছে মহারাষ্ট্র, বিদ জেলা জুড়ে কারফিউ, জারি ১৪৪ ধারাও
Maharashtra curfew: মারাঠা সংরক্ষণের দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দল শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি করার পরই, হিংসাত্মক রূপ নেয় এই আন্দোলন। দুই এনসিপি বিধায়কের বাড়িতে এবং বিজেপির এক বিধায়কের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
মুম্বই: মারাঠা সংরক্ষণের দাবিতে আগুন জ্বলল মহারাষ্ট্রে। যার জেরে বিদ জেলায় কারফিউ জারি করতে হল। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে কোনও প্রকার জমায়েতও নিষেধ করা হয়েছে। বিদে, বিক্ষোভকারীরা একাধিক রাজনীতিবিদদের বাড়ি এবং সরকারি ভবনে ভাঙচুর করার পর, এই পদক্ষেপ করল মহারাষ্ট্র সরকার। মারাঠা সংরক্ষণের দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দল শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি করার পরই, হিংসাত্মক রূপ নেয় এই আন্দোলন। দুই এনসিপি বিধায়কের বাড়িতে এবং বিজেপির এক বিধায়কের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিদের জেলা কালেক্টর দীপা মুধল মুন্ডে হিংসার ঘটনার পরই জেলা সদর এবং জেলার সমস্ত মহকুমা সদরে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে, মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনকারীরা এদিন বিদ শহরে এনসিপি-র কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার আগে, বিদ জেলার আরেক এনসিপি বিধায়ক প্রকাশ সোলাঙ্কের বাড়িতেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। সোলাঙ্কে, অজিত পাওয়ারে শিবিরের নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক অডিয়ো ক্লিপে সোলাঙ্কেকে মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনের বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। সংরক্ষণের দাবিতে অনশনকারী মনোজ জারেঙ্গের প্রতি কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ওই অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই স্থানীয় স্তরে বনধ ডাকা হয়েছিল। সেই বন্ধ থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। যার পরিণতিতে বিধায়কের বাড়ি এবং গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
বিক্ষোভের হাত থেকে নিস্তার পাননি শরদ পওয়ার শিবিরের এনসিপি বিধায়ক সন্দীপ ক্ষীরসাগরও। বিক্ষোভকারীরা তাঁর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাড়িতে রাখা গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিদে প্রাক্তন মন্ত্রী জয়দত্তজি ক্ষীরসাগরের অফিসেও আগুন দেওয়া হয়। তিনি একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠীর সদস্য। ভাড়গাঁও নিম্বলকার গ্রামে উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের পোস্টার ছিঁড়ে এবং পুড়িয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনকারীরা। এদিকে, এই হিংসাত্বক পরিবেশের মধ্যে, এদিন বিদে নিদ নিদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ মাধবরাও পওয়ার এবং এনসিপি জেলা সভাপতি রাজেশ্বর চভন। ইস্তফা দিয়েছেন হিনগোলির সাংসদ হেমন্ত পাটিল এবং নাসিকের সাংসদ হেমন্ত গডসেও। তাঁরা দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই মারাঠা সম্প্রদায়ের সদস্যরা, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বিভাগের অধীনে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষায় মারাঠাভাষীদের সংরক্ষণের দাবিতে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে আন্দোলন করছেন। মারাঠা সংরক্ষণের দাবিতে, মনোজ জারাঙ্গে পাটিল নামে এক মারাঠা অধিকার কর্মী, ২৫ অক্টোবর থেকে জালনা জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছিলেন। এতে এই আন্দোলন আরও তীব্রতা পেয়েছিল। এর আগে, ২৯ অগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনশন করেছিলেন জারাঙ্গে। রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়ার পর, অনশন ত্যাগ করেছিলেন তিনি। তবে, তারপরও কাজ না হওয়ায় তিনি ফের অনশনের পথে ফিরে গিয়েছেন।