Manipur: শাহ-বার্তার পরই স্বাভাবিকের পথে মণিপুর, ৫ জেলায় কারফিউ প্রত্যাহার
Manipur: একমাস আগে মণিপুরে হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে পুলিশের থেকে প্রায় ২ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করা হয়েছে। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সতর্কবার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র সমর্পণ করা হয়েছে।
ইম্ফল: ধীরে-ধীরে ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)! ৫ জেলায় কারফিউ প্রত্যাহার (Curfew Relaxed) করা হল। শুক্রবারই প্রশাসনের তরফে ৫ জেলায় কারফিউ প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) কড়া বার্তার পরই যে উত্তপ্ত পাহাড়ি রাজ্যটি অনেকটা শান্ত হয়েছে, তা বলা বাহুল্য। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কড়া বার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৫ জেলায় কারফিউ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করল রাজ্য প্রশাসন।
মণিপুর ছাড়ার আগে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরে যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পুলিশকে তল্লাশি অভিযান শুরু করারও নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি মণিপুরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে একটি শান্তি কমিটি গঠন করে হিংসার ঘটনায় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সেই বার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মণিপুরের ৫ জেলায় কারফিউ প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য প্রশাসন। যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যে ৫ জেলায় কারফিউ প্রত্যাহার হয়েছে, সেগুলি হল- তামেংলোং, নোনি, সেনাপতি, উখরুল এবং কামজোং। এছাড়া জিরিবাম, চুরাচাঁদপুর, চান্দেল, তেংনৌপল সহ অন্যান্য এলাকায় কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক। আবার পশ্চিম ইম্ফল, পূর্ব ইম্ফল এবং বিষ্ণপুরে ১২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একমাস আগে মণিপুরে হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে পুলিশের থেকে প্রায় ২ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করা হয়েছে। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সতর্কবার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র সমর্পণ করা হয়েছে। যার মধ্যে একে-৪৭, ইনসাস রাইফেল, স্টেন বন্দুক, গ্রেনেড লঞ্চার, পিস্তল রয়েছে। এগুলি সেনা-পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র এবং নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছেন এক সিনিয়ার পুলিশ আধিকারিক।
অন্যদিকে, চারদিনের সফর সেরে মণিপুর থেকে দিল্লিতে ফিরেই এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। রাষ্ট্রপতি মুর্মু এই বৈঠক ডাকেন বলে সূত্রের খবর। যদিও এটা সৌজন্য-সাক্ষাৎকার বলেই রাষ্ট্রপতি ভবন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। তবে হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুর থেকে ফিরে আসার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠকে বসা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকে কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট রাজ্য। অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে ১০টি জেলায়। গত একমাসে দু-পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯৮ জনের এবং ৩০০-র বেশি আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে চারদিনের সফরে মণিপুরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।