Derek on Parliament: ‘সংসদ নয়, যেন সিক্রেট চেম্বার’, বক্তব্য সেন্সরশিপ নিয়ে সরব ডেরেক
Derek O'brien: ডেরেকের অভিযোগ সংসদকে বন্ধ কক্ষে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভেতরে কী হচ্ছে বাইরে কেউ জানতে পারছে না।
নয়া দিল্লি: শুরু থেকই একের পর ইস্যুতে উত্তপ্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সোমবার, অধিবেশনের প্রথম দিনই বিরোধীদের হইচইয়ের মধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repeal Bill, 2021) পেশ করা থেকেই উত্তাপ্তে সূত্রপাত। প্রধানমন্ত্রী মুখে আলোচনার কথা বললেও কোনও আলোচনা ছাড়াই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ হয়েছে, এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এরপরেই বাদশ অধিবেশনে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ১২ বিরোধী সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর থেকেই বিরোধীদের হই হট্টগোলে কার্যত ভেস্তে যায় সংসদের অধিবেশন।
সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে সরকার বিরোধী চাপান উতরের মাঝেই এবার নতুন দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতা তথা প্রাক্তন ক্যুইজ মাস্টার ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’brien)। ডেরেকের অভিযোগ সংসদকে বন্ধ কক্ষে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভেতরে কী হচ্ছে বাইরে কেউ জানতে পারছে না। তিনি বলেন, “সরকার চায় সংসদ বন্ধ থাকুক। তবে সরকারের ওপর মহল থেকে জনগণকে কোনও উত্তর দিতে হবে না। সেই নীতি অনুযায়ী সরকার কোনও উত্তর দিচ্ছেও না। সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সংসদে মিডিয়ার প্রবেশ বন্ধ এর সঙ্গে সংসদ টিভিতে বিরোধী সাংসদদের বক্তব্য সেন্সর করা হচ্ছে। আমরা লোকসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করছি, এই সেন্সরশিপ বন্ধ করা হোক। অনেকেই বলছেন সংসদকে ‘সিক্রেট চেম্বারে’ পরিণত করা হচ্ছে। এটা অন্যায়।”
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সংসদে সাংসদরা যেতে পারছেন কিনা আর কথা বলতে পারছেন কিনা এটাই বড় কথা। বিধানসভায় ওনারা কথা বলতে দেন না। গা জোয়ারি করে বাংলায় গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে। সংসদের বাদল অধিবেশন লোকসভার অধ্যক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে বিশ্বের কাছে কলঙ্কিত করেছিল। সংসদকে সিক্রেট চেম্বার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন। একই সুর ডেরেকের গলায়। এর শত্রুপক্ষের হয়ে কথা বলতে ভালবাসে। তাই দেশের সংসদকে এরা প্রতিদিন অপমান করছে। শত্রুপক্ষের ওপর হামলা হলে প্রমাণ চায়। দেশের কথা ভাবেন। এঁরা সংসদকে কলুষিত করেই ব্যস্ত থাকে। দয়া করে সংসদকে ছোট করবেন না।”
উল্লেখ্য, এদিন সংসদে ওমিক্রন নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতুবি প্রস্তুাব দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। অর্থাৎ, এদিন আলোচনায় ওমিক্রনে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। এর জন্য ৫০ সাংসদের সমর্থন লাগবে। সংসদ মান্যতা দিলে ওমিক্রন নিয়ে আলোচনা হবে। তার অব্যবহিত পরেই দেশে কৃষক মৃত্যু, মুদ্রাস্ফীতির মতো ইস্যু নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। তার পর ওয়াক আউট করেন তাঁরা। গণতন্ত্র নেই এই অভিযোগ করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন কংগ্রেস সাংসরা। ১২ সাংসদের বরখাস্তের প্রতিবাদে সেই ধরনায় শামিল হতে দেখা যায় রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরীদের। তাঁদের হাতে পোস্টারে লেখা, ‘গণতন্ত্র বাঁচান’। রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে সংসদে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির পাদদেেশে ধরনায় বসেন বিরোধী নেতারা।