Centre’s Affidavit on Delhi Air Pollution: দূষণ রুখতে একাধিক শিল্পাঞ্চল বন্ধের নোটিস! হলফনামায় জরিমানার কথাও জানাল কেন্দ্র
Delhi Air Pollution: কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কেবল উত্তর প্রদেশেই ১০২ টি শিল্পাঞ্চল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অতিক্রম করার জন্য এবং ৯০টি শিল্পকেন্দ্রকে নির্দেশ অমান্য করে সপ্তাহ শেষেও কাজ চালু রাখার জন্য জরিমানা করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বায়ুদূষণ (Air Pollution) কমেনি রাজধানীতে (Delhi)। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একাধিকবার দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ দিন কেন্দ্রের তরফে দিল্লির দূষণ নিয়ে হলফনামা (Affidavit) জমা দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে পরিকল্পনা কার্যকর রয়েছে, তার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্বল্প ও মাঝারি মেয়াদী পরিকল্পনাও জমা দেওয়া হয়েছে। যে সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলি দূষণ নিয়ন্ত্রণে জারি বিধিনিষেধ অনুসরণ করেনি, সেগুলি বন্ধ করার নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের হলফনামায় জানানো হয়েছে, যে সমস্ত শিল্পাঞ্চল থেকে দূষিত ধোয়া নির্গত হয়, সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একাধিক জায়গায় ডিজেল জেনারেটর সেট, নির্মাণ বা সংস্কারকাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফ্লায়িং স্কোয়াডের পরিদর্শনের পর।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানায়, দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নজরদারি দল তৈরি করা হয়েছে। এই ফ্লায়িং স্কোয়াডই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে, কোন কোন জায়গা থেকে দূষণ হচ্ছে, তা চিহ্নিত করেছে। এখনও অবধি ফ্লায়িং স্কোয়াড মোট ১৫৩৪টি জায়গায় পরিদর্শন করেছে এবং এরমধ্যে ২২৮টি জায়গাকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে টাস্ক ফোর্স।
একইসঙ্গে কেন্দ্রের হলফনামায় জানানো হয়েছে, নিয়মবিধি সর্বাধিক অমান্য হয়েছে শিল্পাঞ্চলেই। দিল্লিতে দূষণের একটি অংশই শিল্পাঞ্চল থেকে হয়, শীতকালে এই দূষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। হলফনামায় বলা হয়েছে, “বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে কমিশনের নির্দে অনুযায়ী শিল্পাঞ্চলগুলিকে প্রাকৃতিক জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। এই মর্মে প্রতিটি রাজ্য়ে নির্দেশিকায় পাঠানো হয়েছে।”
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কেবল উত্তর প্রদেশেই ১০২ টি শিল্পাঞ্চল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অতিক্রম করার জন্য এবং ৯০টি শিল্পকেন্দ্রকে নির্দেশ অমান্য করে সপ্তাহ শেষেও কাজ চালু রাখার জন্য জরিমানা করা হয়েছে।
কেন্দ্রের পাশাপাশি বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফেও শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে বিদ্যুৎ উৎপাদক কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় চালু করা হচ্ছে। মূলত দিল্লি লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে যাতে বিদ্যুৎ ঘাটতি না দেখা যায়, সেই কারণেই এই প্ল্যান্টগুলি চালু করা হচ্ছে। কেন্দ্রের হলফনামায় এই বিষয়ে বলা হয়েছে, “যত সংখ্য়ক থার্মাল প্লান্ট বন্ধ করা হয়েছে, তার সংখ্যা বাড়ানো যেমন সম্ভব নয়, তেমনই বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দিল্লির পার্শ্ববর্তী ৩০০ কিমি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যুৎ উৎপাদক কেন্দ্রগুলি ১৫ ডিসেম্বরের বেশি বন্ধ রাখা সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন: Ranjan Gogoi: ‘ইচ্ছা হলে রাজ্যসভায় যাই’, অযোধ্যা মামলার বিতর্ক নিয়েও মুখ খুললেন রঞ্জন গগৌ