Delhi air pollution: দিল্লির বায়ু-দূষণ মোকাবিলায় ৩ ফর্মূলা

Delhi pollution: দিল্লির সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা, গণপরিবহণ ও সমস্ত ব্যবসায়িক পরিবহণ প্রাকৃতিক গ্যাসে চালানোর ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন সিএসই অধিকর্তা। পুরানো গাড়ি এবং ডিজেল চালিত গাড়ি চালালে অতিরিক্ত কর দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এগুলি মেনে চললে ধীরে-ধীরে রাজধানীর বায়ুর দূষণের মান কমবে বলে আশাবাদী অনুমিতা রায় চৌধুরী।

Delhi air pollution: দিল্লির বায়ু-দূষণ মোকাবিলায় ৩ ফর্মূলা
দূষণে ঢেকে দিল্লি। Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2023 | 8:50 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লিতে বায়ু দূষণ (Air pollution) ‘গুরুতর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত শহরের তকমা পেয়েছে ভারতের রাজধানী (Delhi)। দূষণ মোকাবিলায় কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে দিল্লি সরকার। তবে দিল্লির দূষণ কমাতে দূষণের উৎস থেকে পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (CSE)-এর কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর,গবেষক ও উপদেষ্টা অনুমিতা রায় চৌধুরী। দুষণ মোকাবিলায় ৩ ফর্মূলাও (3 Formula) দিলেন তিনি।

দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে CSE অধিকর্তা অনুমিতা রায় চৌধুরী বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০ সালের পর এবারই সবচেয়ে দীর্ঘতম ধোঁয়াশা পর্ব। দূষণের মার্জিন কমাতে তিনি ৩টি বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি হল, পরিবহণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্বচ্ছ জ্বালানি।

পরিবহণ- দিল্লির রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা দূষণ বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সিএসই অধিকর্তা অনুমিতা রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা দিল্লিতে যানবাহনের সংখ্যার বিস্ফোরক বৃদ্ধির সাথে মোকাবিলা করতে পারিনি। এর কারণ আমরা আমাদের সমন্বিত গণপরিবহণ ব্যবস্থা এবং হাঁটা ও সাইকেল চালানো বাড়াতে পারিনি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা- দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় এখনও প্রচুর বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে সিএসই অধিকর্তা বলেন, “এর কারণ হল আমরা এখনও প্রতিটি পরিবারকে পুরসভার বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার আওতায় আনতে পারিনি।” বর্জ্য না পুড়িয়ে সেগুলির কোথাও জমা করা ও পুনর্নবীকরণ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

স্বচ্ছ জ্বালানি- বর্তমানে দিল্লির অনেক শিল্প সংস্থায় প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে। তবু শহরে প্রচুর সংখ্যক ছোট শিল্প ইউনিট রয়েছে, যেখানে অ-অনুমোদিত জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অনেক হোটেল ও বাড়িতেও কঠিন জ্বালানী পোড়ানো হচ্ছে। অনুমিতা রায় চৌধুরী বলেন, এই অ-অনুমোদিত জ্বালানিগুলি পরিবেশ বান্ধব নয়। যার ফলে শহরের দূষণ সমস্যা বেড়ে ওঠে।

এছাড়া দিল্লির সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা, গণপরিবহণ ও সমস্ত ব্যবসায়িক পরিবহণ প্রাকৃতিক গ্যাসে চালানোর ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন সিএসই অধিকর্তা। পুরানো গাড়ি এবং ডিজেল চালিত গাড়ি চালালে অতিরিক্ত কর দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এগুলি মেনে চললে ধীরে-ধীরে রাজধানীর বায়ুর দূষণের মান কমবে বলে আশাবাদী অনুমিতা রায় চৌধুরী।

অন্যদিকে, দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোনো, এন-৯৫ মাস্ক পরে রাস্তায় বেরোনো, জানলা বন্ধ রাখা, জোড়-বিজোড় ফর্মুলায় গাড়ি চালানো এবং বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলা হয়েছে।