লকডাউনে ‘না’, রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কড়া বিধিনিষেধে সায় মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই নৈশ কার্ফু জারি করেছে কেজরীবাল সরকার। এ দিন তিনি জানান, লকডাউন ঘোষণা না হলেও কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হবে।
নয়া দিল্লি: লকডাউন হবে না, তবে জারি হবে নতুন বিধিনিষেধ। দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল(Arvind Kejriwal)। একইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে মাত্র ১০ দিনের করোনা ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) মজুত রয়েছে। কেন্দ্র দ্রুত টিকা না পাঠালে বন্ধ হয়ে যাবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই নৈশ কার্ফু জারি করেছে কেজরীবাল সরকার। গতকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধের ঘোষণাও করা হয়। এ দিন করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শনে দিল্লির লোকনায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “যদি আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ করোনা টিকা দেওয়া হয় এবং টিকাকরণের বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়, তবে আরও টিকাকরণ কেন্দ্র খোলার অনুমতি নিয়ে আমরা আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই সমস্ত দিল্লিবাসীকে টিকা দিতে পারব।”
If we have enough doses & age bar is removed, we can vaccinate people within 2-3 months in Delhi. Currently, we’ve vaccine for 7-10 days. We need to remove age criteria & scale up vaccination. There’ll be no lockdown. New restrictions will be imposed soon:Delhi CM Arvind Kejriwal pic.twitter.com/v8YfK1SUks
— ANI (@ANI) April 10, 2021
আরও পড়ুন: ভোটে পরাজিত বিজেপি, জয়জয়কার মানিক্যের
কেজরীবাল জানান, আপাতত রাজ্যের কাছে মাত্র ৭-১০ দিনের করোনা টিকা রয়েছে। লকডাউন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কোনও লকডাউন করা হবে না। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন করোনা বিধি জারি করা হবে।” দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলা হলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিল্লি করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখছে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন টিকাকরণে গতি আনতে হবে, তারই সঙ্গে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথাযোগ্য ব্যবস্থা ও হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “গত বছর নভেম্বর মাসে দিল্লি যখন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে পড়েছিল, তখন যেরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, এখনও দিল্লি সরকার ও সমস্ত হাসপাতাল সেই প্রস্তুতি নেবে। আজকের বৈঠকে হাসপাতালগুলির কী কী প্রয়োজন, তা জানা হয়েছে। সরকার এই সমস্ত চাহিদা পূরণ করবে। দিল্লিবাসীকে কষ্টে থাকতে দেব না আমরা।”
আরও পড়ুন: ৬ মাস আগে কেন বোঝা গেল না ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা, প্রশ্ন তুললেন ড. গুলেরিয়া