Delhi Court Firing: জেলে বসেই গোগির সুপারি দিয়েছিল টিল্লু! কাজে লেগেছিল আইনের ছাত্রের পোশাক

Gangster Tillu Plotted Court Firing: পুলিশি জেরায় উমঙ্গ জানিয়েছে, সম্প্রতিই টিল্লুর ফোন আসে তাঁর কাছে। তাঁকে বলা হয়, সুনীল রাঠি ও নবীন বালি নামক দুই যুবক আসবে তাঁর বাড়িতে।

Delhi Court Firing: জেলে বসেই গোগির সুপারি দিয়েছিল টিল্লু! কাজে লেগেছিল আইনের ছাত্রের পোশাক
অলঙ্করণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2021 | 11:24 AM

নয়া দিল্লি: প্রতিপক্ষ গ্যাংস্টার(Gangster)-কে খতম করতে রোহিণী আদালত(Rohini Court)-র ভিতরে ঢুকেই গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা, কিন্তু আসল পরিকল্পনা করা হয়েছিল জেলের ভিতরে বসেই। দিল্লির কুখ্য়াত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগি(Jitendra Gogi)-কে খুন করার ছক কষেছিল একসময়ের বন্ধু ও পরে পরম শত্রু হয়ে ওঠা সুনীল ওরফে টিল্লুই।

শনিবারই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল (Delhi Police Special Cell) আদালত চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করে দুইজনকে। ধৃতদের নাম উমঙ্গ যাদব ও বিনয়। পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, উমঙ্গ যাদব বিগত দুই বছর ধরে টিল্লু তাজপুরিয়ার দলে কাজ করত। অন্য়দিকে, বিনয় তাঁকে গুলি চালানোর পর আইনজীবীর পোশাক বদলে পালাতে সাহায্য করেছিল।

দিল্লির মান্ডোলি জেলে বন্দি টিল্লুই জেলের ভিতর থেকে উমঙ্গকে নির্দেশ দিয়েছিল তাঁর প্রতিপক্ষ জিতেন্দ্র গোগিকে খতম করার। একসময়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করায় আগে থেকেই আইনজীবীদের পোশাক ছিল উমঙ্গের কাছে। সেই পোশাক পরে আদালত চত্বরে ঢুকতে কোনও সমস্যাই হয়নি তাঁর। উমঙ্গই দুই শ্যুটারকে আদালতের ভিতরে পৌঁছে দিয়েছিল। অন্যদিকে, অপর ধৃত বিনয় গুলি চালনার পরও আদালতের বাইরে দাঁড়িয়েছিল।  তাঁর কাজ ছিল, জিতেন্দ্রকে খতম করার পর শ্য়ুটারদের কাছ থেকে পোশাক ও মোবাইলগুলি নিয়ে অন্য কোথাও ফেলে দেওয়া। পুলিশ ওই পোশাক ও বন্দুকগুলি উদ্ধার করেছে।

সূত্রের খবর, জেলের ভিতর থেকে বসেই টিল্লু ফোনে যাবতীয় অপারেশনের নির্দেশ দিচ্ছিল। রোহিণী আদালত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে হায়দরপুরে একটি ফ্ল্যাটে বিগত কয়েকদিন ধরে থাকছিল আততায়ীরা। ওই ফ্ল্য়াটটি উমঙ্গ যাদবের নামে ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

পুলিশি জেরায় উমঙ্গ জানিয়েছে, সম্প্রতিই টিল্লুর ফোন আসে তাঁর কাছে। তাঁকে বলা হয়, সুনীল রাঠি ও নবীন বালি নামক দুই যুবক আসবে তাঁর বাড়িতে। তাঁরা যে দুই যুবককে ঠিক করে দেবে, তাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে যেন জিতেন্দ্র গোগিকে আদালত চত্বরেই খতম করে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মতোই যাবতীয় কাজ করে সে।

উমঙ্গ জানিয়েছে, তিন বছর আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিল সে, পরে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে টিল্লুর গ্যাংয়ে নাম লেখায়। আইন পড়ার সময় যে পোশাক ছিল তাঁর কাছে, সেটি পরেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে পৌঁছয় সে। সঙ্গে ওই দুই যুবকও ছিল।  গোগিকে খুন করেই শহর ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও পুলিশের গুলিতে মারা যায় ওই দুই যুবক। কোনওমতে পালিয়ে যায় উমঙ্গ।আদালতে গুলি চালানোর দুদিন আগে ওই দুই যুবক গোটা আদালত চত্বর ঘুরে দেখেছিল বলেও জানা গিয়েছে।

প্রাথমিক জেরার পর দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেবে বলে জানা গিয়েছে।