Arvind Kejriwal surrenders: হনুমান মন্দির ঘুরে, বাবা-মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে, তিহারে আত্মসমর্পণ কেজরীবালের

Arvind Kejriwal surrenders: ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, রবিবার (২ জুন) বিকেলে তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁকে ৫ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত।

Arvind Kejriwal surrenders: হনুমান মন্দির ঘুরে, বাবা-মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে, তিহারে আত্মসমর্পণ কেজরীবালের
সপারিষদ তিহারের পথে অরবিন্দ কেজরীবালImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 02, 2024 | 6:34 PM

নয়া দিল্লি: ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, রবিবার (২ জুন) বিকেলে তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁকে ৫ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। গত ১০ মে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য, তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, সাত দিনের জন্য জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু, তাঁর সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত।

আত্মসমর্পণের আগে, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে, নয়াদিল্লির রাজঘাটে গিয়েছিলেন কেজরীবাল। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। তাঁর রাজঘাট ভ্রমণ নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। প্রবেশ পথের বাইরে, বিজেপি নেতা বীরেন্দ্র সচদেবের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। বীরেন্দ্র সচদেব বলেন, “তিনি (অরবিন্দ কেজরীবাল) তাঁর কার্যালয় থেকে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি সরিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি রাজঘাটে যাচ্ছেন। দিল্লির মানুষ জলের সংকটে ভুগছে। আর, তিনি এখানে নাটক করছেন। আমরা অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবই।”

রাজঘাট থেকে দিল্লির কনট প্লেসের হনুমান মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন কেজরীবাল। মন্দির দর্শনের পর, আপের দিল্লির কার্যালয়ে যান তিনি। দলীয় কার্যালয়ে আম আদমি পার্টির রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। এরপর, নিজের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের আশীর্বাদ নেন। আম আদমি পার্টির টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কেজরীবাল জেলে যাওয়ার আগে তাঁর পরিবারের সদস্যরা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। দুই সন্তানকে জড়িয়ে ধরেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এরপর, একটি কালো এসইউভি গাড়িতে করে তিহার জেলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। গাড়িতে তাঁর পাশের আসনেই বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী, সুনিতা কেজরীবাল। কারাগারে পড়ার জন্য তিনি কিছু বইও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

কারাগারে ফিরে যাওয়ার আগে, দেশের মানুষের উদ্দেশে কেজরীবাল বলেছেন, “নির্বাচনের প্রচারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট আমাকে ২১ দিনের জন্য জামিন দিয়েছিল। এর জন্য আমি আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজ, আমি আবার তিহার জেলে যাচ্ছি। এই ২১ দিনের মধ্যে আমি একটি মিনিটও নষ্ট করিনি। শুধুমাত্র আপের জন্য প্রচার করিনি, বিভিন্ন দলের জন্য আমি মুম্বই, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খন্ডে গিয়েছি। আমাদের জন্য আপ গুরুত্বপূর্ণ নয়, দেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে আমি কারাগারে ফিরে যাচ্ছি না। আমি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছি বলে আমায় জেলে যেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী গোটা দেশের সামনে মেনে নিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। ভগত সিং বলেছিলেন, ক্ষমতা যখন স্বৈরাচারে পরিণত হয়, তখন জেলে যাওয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দেশকে মুক্ত করতে চাওয়ায় ভগত সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। যদি ভগৎ সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়, আমিও ফাঁসিতে ঝুলতে প্রস্তুত।”