Delhi Fire: ‘চোখের সামনে ঝাঁপ দিচ্ছিল ওরা, তখনও দমকল আসেনি’, নীচে দাঁড়িয়ে ঠিক কী দেখেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী?

Delhi Fire: সুরেশ নামক এক ব্যক্তি যিনি উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিলেন, তিনি জানান যে, বিকেল ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। সেই সময় চারতলা ওই বিল্ডিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন।

Delhi Fire: 'চোখের সামনে ঝাঁপ দিচ্ছিল ওরা, তখনও দমকল আসেনি', নীচে দাঁড়িয়ে ঠিক কী দেখেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী?
কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 10:00 AM

নয়া দিল্লি: উপর থেকে পড়ে কারোর ভেঙেছে হাত-পা, কারোর আবার কোমরের হাড় গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ আবার ঝাঁপ দিতে দেরি করায় আগুনে কিছুটা ঝলসিয়ে গেছেন। সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন অগ্নিদগ্ধ বাড়িতে উপস্থিত কর্মীরা। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন ‘অভিশপ্ত’ ওই বিল্ডিংয়ে। হঠাৎই তাঁরা বুঝতে পারেন অফিসে আগুন লেগেছে। কিন্তু নীচে নামার কোনও পথ নেই। বাধ্য হয়েই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বারান্দা দিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাঁরা। নীচে সেই সময়ে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকল বা পুলিশের অপেক্ষা না করে তাঁরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয় ৭০-৮০ জনকে।

ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার?

সুরেশ নামক এক ব্যক্তি যিনি উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিলেন, তিনি জানান যে, বিকেল ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। সেই সময় চারতলা ওই বিল্ডিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বিল্ডিং থেকে সবাই পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু নামার একটিই সিঁড়ি থাকায় এবং তা আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়ায়, বাধ্য হয়ে তাঁরা দোতলা, তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপ দিতে থাকেন। প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা ও ৩০ শতাংশ পুরুষ ছিলেন, যাঁরা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে অধিকাংশই গুরুতর আহত হয়েছেন। হাত-পা, কোমর ভেঙে গিয়েছে।

উদ্ধারকাজে সাহায্যকারী ওই ব্যক্তি জানান, আগুন লাগার প্রায় আধ ঘণ্টা বা পৌনে এক ঘণ্টা বাদে দমকল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। ওই ব্যক্তি নিজেই ক্রেনের সাহায্যে বিল্ডিংয়ের ভিতরে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করেন। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জনকে উদ্ধার করে আনেন তিনি। প্রায় রাত ২টো অবধি উদ্ধারকাজে তিনি হাত লাগান। পরে সকালে তিনি ফের ঘটনাস্থলে আসেন। অগ্নিকাণ্ডের পর এখনও অবধি কতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাতে পারেননি তিনি।