Malay Ghatak: ‘দিল্লিতে জেরায় যোগদান করতে অসুবিধা কোথায়?’, ৯ বার হাজিরা এড়ানোয় মলয় ঘটককে প্রশ্ন আদালতের
Coal Scam Case: এর আগে ন'বার রাজ্যের মন্ত্রীকে সমন পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি ইডি-র। সেই হাজিরা এড়াতে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মলয়। বুধবার ( ১০.৫.২০২৩) ছিল মামলার শুনানি।
দিল্লি: কয়লা পাচার মামলায় আরও চাপ বাড়ল রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রীকে দিল্লিতে গিয়ে ইডির তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হল। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা মন্ত্রী মলয় ঘটককে প্রশ্ন করেন, “দিল্লিতে জেরায় যোগদান করতে অসুবিধে কোথায় ?”
এর আগে ন’বার রাজ্যের মন্ত্রীকে সমন পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি ইডি-র। সেই হাজিরা এড়াতে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মলয়। বুধবার ( ১০.৫.২০২৩) ছিল মামলার শুনানি। আদালতে ইডি জানায়, এখনও পর্যন্ত মোট ন’বার সমান পাঠানো হয়েছে মলয় ঘটককে। এবং প্রতিবারই সেই সমন এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। জবাবে মলয় ঘটকের আইনজীবী বলেন, ইতিমধ্যেই যা বলার এবং যা নথি দেওয়ার সব জমা দেওয়া হয়েছে। ইডিকে (ED) মলয়ের আইনজীবীরা পালটা প্রশ্ন করেন, মামলায় অভিযুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁদের মক্কেলকে বারংবার দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে? সেই প্রশ্নের জবাবে ইডির আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী,নলিনী চিদম্বরমের মতো মলয় ঘটক বিশেষ সুবিধা দাবি করতে পারেন না। এরপর বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা নির্দেশ দেন মলয় ঘটককে দিল্লিতে এসে তদন্তে সহযোগিতা করার। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ অগাস্ট।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার-কাণ্ডে প্রথম থেকেই সামনে এসেছিল মন্ত্রী তথা আসানসোলের এই বিধায়কের নাম। যে সময় লালার লোকজন কয়লা পাচার করতেন বলে অভিযোগ, সেই সময় বিধায়ক হিসেবে মলয় ঘটকের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তিনি কোনওভাবে লাভবান হয়েছিলেন কি না, কোনও রকম প্রভাব খাটিয়েছিলেন কি না, সেটাই খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারী আধিকারিকেরা।