‘মনে হয় আপনারা চান মানুষ মারা যাক’, রেমডিসিভিরের নিয়মবিধি নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র ভৎর্সনা দিল্লি হাইকোর্টের
রেমডিসিভির প্রয়োগে কোনও পরিবর্তন আনা উচিত কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামিদিনে মেডিক্যাল কমিটি গঠন করার চিন্তাভাবনাও করছে আদালত।
নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে রেমডিসিভিরের ঘাটতি দেখা দিতেই কেন্দ্রের তরফে ওষুধ ব্যবহারে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকার প্রেক্ষিতেই এ বার আদালতের ভৎসর্নার মুখে পড়ল কেন্দ্র। রেমজিসিভির প্রয়োগের নিয়মবিধিকে সম্পূর্ণ অবাস্তব আখ্যা দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতিভা এম সিং বলেন, “মনে হয় আপনারা চান যে মানুষ মারা যাক।”
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রেমডিসিভির ব্যবহারের নিয়মে পরিবর্তন আনে। বলা হয়, মাঝারি বা সঙ্কটজনক করোনা রোগী, যাঁরা অকিসিজেন সাপোর্টে রয়েছেন, তাঁরাই কেবল এই ইঞ্জেকশন পাবেন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন এক আইনজীবী।
বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রতিভা এম সিং বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভুল। এখন যারা অক্সিজেন পাচ্ছেন না, তারা রেমডিসিভিরও পাবেন না। মনে হয়, আপনারা চান যে মানুষ মারা যাক।” রেমডিসিভির প্রয়োগের নিয়মে পরিবর্তন আনার সিদ্ধানতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ” ঘাটতি কমাতে প্রোটোকলে পরিবর্তন আনবেন না। এটা সঠিক নয়। এরফলে বর্তমানে চিকিৎসকেরা রেমডিসিভির রোগীদের দিতে পারছেন না।”
রেমডিসিভির প্রয়োগে কোনও পরিবর্তন আনা উচিত কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামিদিনে মেডিক্যাল কমিটি গঠন করার চিন্তাভাবনাও করছে আদালত।
দিল্লিতে রেমডিসিভির দেরীতে পৌঁছনো নিয়েও আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। কত রেমসিভির কেন্দ্র পাঠিয়েছে, তা জানতে চাইলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় যে ৭২ হাজারের মধ্যে ৫২ হাজার ভাইল ইতিম্যেই পাঠানো হয়েছে. এর জবাবে আদালতের তরফে জানানো হয়, দিল্লিতে এত ধীরগতিতে বরাদ্দ প্রক্রিয়া চলবে না। একইসঙ্গে এক সাংসদের কাছে ১০ হাজার ভাইল রেমডিসিভির থাকা প্রসঙ্গেও বলা হয়, “আশ্চর্যের বিষয় হল একজন সাংসদ দিল্লি থেকেই ১০ হাজার ভাইল ওষুধ জোগাড় করে চাটার্ড বিমানে করে তা মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে নিয়ে গিয়ে বিতরণ করলেন। এই ওষুধগুলো দিল্লির মানুষকে দেওয়া যেত।”
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের কাঁচামালই নয়, ১০ কোটি টাকার প্রয়োজনীয় সামগ্রীও পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ বাইডেন