Aam Admi Party: ১৪০০ কোটির দুর্নীতিতে যুক্ত দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর! গুরুতর অভিযোগ আপের

Excise Department: গতমাসেই দিল্লির সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার দিকে আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ জানিয়েছিলেন ভিকে সাক্সেনা।

Aam Admi Party: ১৪০০ কোটির দুর্নীতিতে যুক্ত দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর! গুরুতর অভিযোগ আপের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2022 | 4:46 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারে আবগারি নীতিতে দুর্নীতির তদন্তে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বাড়ির দরজা কড়া নেড়েছিল সিবিআই। এই নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকা নিয়ে মণীশের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। এবার দিল্লির এলজির দিকে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলল আম আদমি পার্টি। সোমবার দিল্লি বিধানসভার অভিবেশন চলাকালনী আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক অভিযোগ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় কেভিআইসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন ভিকে সাক্সেনা তাঁর কর্মীদের দিয়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বাতিল নোট বদল করিয়েছেন। যদি এই অভিযোগ প্রসঙ্গে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের তরফে এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গতমাসেই দিল্লির সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার দিকে আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ জানিয়েছিলেন ভিকে সাক্সেনা। তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন আবগারি নীতি চালু হওয়ার পর মণীশ আর্থিক সুযোগ-সুবিধাও পেয়েছেন। এবার সেই লেফটেন্যান্ট গভর্নের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আপ। দুর্গেশ পাঠক বলেন, “তিনি কেভিআইসির চেয়ারম্যান থাকাকালীনই নোটবন্দি হয়েছিল। সেই সময় সেখানে কর্মরত এক ক্যাশিয়ার লিখিত জানিয়েছেন যে তাঁকে দিয়ে জোর করে বাতিল নোট বদল করানো হয়েছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত চাই। এই নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনও রয়েছে এবং অনেক কর্মী এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”

সোমবার দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান আম আদমি পার্টি বিধায়করা। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে সাক্সেনার অপসারণ দাবি করতে থাকেন আপ বিধায়করা। সেই কারণে প্রম্পটিং ডেপুটি স্পিকার রাখি বিড়লা ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন খারিজ করে দেন। দিল্লির শাসক দলের দাবি, “কেভিআইসি চেয়ারম্যান থাকাকালীন কোষাধ্যক্ষকে চাপ দিয়ে তিনি বাতিল নোট বদল করেছিলেন। দিল্লি শাখাতেই ২২ লক্ষ টাকার নোট বদল করা হয়েছে। গোটা দেশে ৭ হাজার শাখা রয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৪০০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে।”