Delhi Murder Case: ফের শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! লিভ-ইন সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন, দেহ টুকরো করার চেষ্টা অভিযুক্তের

Delhi Murder Case: জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বরের রাতে রেখার মেয়ের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। বছর ১৬-র নাবালিকা ঘুমিয়ে পড়ার পর তিনি রেখাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন এবং দেহ কেটে টুকরো করার চেষ্টা করেন।

Delhi Murder Case: ফের শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! লিভ-ইন সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন, দেহ টুকরো করার চেষ্টা অভিযুক্তের
অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 12:08 PM

নয়া দিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকারের মতো খুনই যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে অপরাধীদের কাছে! শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের অনুকরণেই লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম দিল্লির তিলক নগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বছর ৩৫-র এক মহিলা, যিনি তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী ছিলেন, তাঁকে কুপিয়ে খুন করেন। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, আফতাবের মতোই তিনিও প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে প্রমাণ লোপাট করে দেবেন। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত ধরা পড়ে যায়। এদিন পঞ্জাব থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে দিল্লির গণেশ নগর থেকে এক রেখা রানি (৩৫) নামক এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। তার চোয়ালে একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে গণেশ নগরের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার সঙ্গে মনপ্রীত নামক এক ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মনপ্রীতও বিবাহিত। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালে তিনি রেখার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। গণেশনগরের ওই ভাড়াবাড়িতেও থাকতে শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই ওই ব্যক্তির মনে হয়, তিনি সম্পর্কে আটকা পড়ে গিয়েছেন। সম্পর্ক ভেঙে বেরনোর জন্যই খুনের পরিকল্পনা শুরু করেন।

জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বরের রাতে রেখার মেয়ের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। বছর ১৬-র নাবালিকা ঘুমিয়ে পড়ার পর তিনি রেখাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন এবং দেহ কেটে টুকরো করার চেষ্টা করেন। তবে ওই মহিলার চিৎকারের শব্দে পাড়া-প্রতিবেশীরা জেগে যাওয়ায় পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত মনপ্রীতের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপহরণ ও খুনের অভিযোগ রয়েছে। নিহত রেখা রানির মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ও ২০১ (প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা)-র অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।