করোনা জ্বালাচ্ছে গণচিতা, নেই সৎকারের জায়গাও
জরুরিকালীন দাহ করার জায়গা তৈরি করেও সামলানো যাচ্ছে না মৃতের ভিড়।
নয়া দিল্লি: অক্সিজেন নেই, হাসপাতালে বেড নেই, রেমডেসিভিরের আকাল। ভেঙে পড়া এই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ফলে বাড়ছে করোনা (COVID) আক্রান্তর মৃত্যু। ফলস্বরূপ সৎকারের জায়গাও নেই। এতটাই ভয়ানক দেশের করোনা পরিস্থিতি। বারবার সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ছে গণচিতার ছবি। কোনও কোনও রাজ্যে সারারাত জ্বলছে চিতা। কেউ কেউ বলছেন করোনা সঙ্কট যেন মানুষের জীবনে নরকের আকার নিয়েছে। খাস রাজধানীর ছবিটা দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে। দিল্লিতে গত ৩ দিন ধরে রোজ প্রায় ৩৫০ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ১৪ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যার ফলে সৎকারেও দেখা যাচ্ছে সমস্যা। দিল্লির একাধিক শ্মশানে সৎকার করার জায়গা নেই।
জরুরিকালীন দাহ করার জায়গা তৈরি করেও সামলানো যাচ্ছে না মৃতের ভিড়। সরাই কালে খান শ্মশানে ২২ জনকে দাহ করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু রোজ ৬০-৭০টি মৃতদেহ আসছে। আপদকালীন পরিস্থিতিতে দাহ করার জায়গা তৈরি হচ্ছে সেখানে। শ্মশানের কনট্রাক্টার জানান, ১০০টি আপদকালীন দাহ করার জায়গা তৈরি হচ্ছে। যার মধ্যে রাতের মধ্যে ২০টি তৈরি হয়ে যাবে।
দিল্লির অন্যান্য ২৫ শ্মশানেরও একই অবস্থা। সেখানেও মৃতদেহ সৎকার করার জন্য জায়গার অভাব। কার্যত এই একাধিক সমস্যায় জেরবার গোটা দেশ। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ২৮১২ জনের। এটিই এখনও অবধি দৈনিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩-তে। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪ হাজার ৩৮২ জন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৮।
আরও পড়ুন: কাজে আসতে পারে ‘করোনার ওষুধ’ মলনুপিরাভির! ছাড়পত্রের আবেদন নির্মাতা সংস্থার