Delhi COVID-19 Cases: ২০ শতাংশে পৌঁছল রাজধানীর সংক্রমণের হার, বুস্টার ডোজ়ে অনীহাই ডেকে আনছে বিপদ?

Delhi COVID-19 Cases: উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন, "করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন যারা, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই করোনা টিকার দুটি ডোজ় নিয়েছেন। অন্যদিকে যারা বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কেবল ১০ শতাংশই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।"

Delhi COVID-19 Cases: ২০ শতাংশে পৌঁছল রাজধানীর সংক্রমণের হার, বুস্টার ডোজ়ে অনীহাই ডেকে আনছে বিপদ?
করোনা সংক্রমণ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 6:16 AM

নয়া দিল্লি: তরতরিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, এদিকে কিছুতেই সচেতন হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজধানীর করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে দিল্লিতে সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ২০ শতাংশে। রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তেই ফের টিকাকরণের উপরেই জোর দেওয়ার কথা বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। মঙ্গলবারই তিনি জানান,করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের মধ্যে কেবল ১০ শতাংশই করোনার বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন। দুটি টিকাপ্রাপ্তদের তুলনায় বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন যারা, তারা অধিক সুরক্ষিত বলেও জানান তিনি।

দিল্লি স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯১৭ জন। একদিনেই সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও বিভিন্ন জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। জানা গিয়েছে,ওই বৈঠকে হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও তার জেরে হাসপাতালে ভর্তির হার বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা ও বুস্টার টিকাকরণের হার বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন, “করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন যারা, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই করোনা টিকার দুটি ডোজ় নিয়েছেন। অন্যদিকে যারা বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কেবল ১০ শতাংশই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে যারা প্রিকশনারি ডোজ় নিয়েছেন, তারা বাকিদের তুলনায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকছেন।”

দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমার বৈঠক থেকেই জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন তারা যেন মেট্রো স্টেশন, মার্কেট ও শপিং মলের মতো ভিড় জায়গায় করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে যান এবং নজরদারি চালান। হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা ও টিকাকরণ নিয়ে অনীহার কারণেই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

মঙ্গলবার দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনাও টুইট করে লেখেন, “আমরা করোনা সংক্রমণের হঠাৎ বৃদ্ধি দেখছি। সংক্রমণের হার যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনই আবার পুনরায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের বুঝতে হবে যে প্যান্ডেমিক শেষ হওয়ার থেকে এখনও অনেক দূরে। সকলকে করোনাবিধি মেনে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।”