১০০ ছাড়াল ‘ডেল্টা প্লাস’, এখনও চোখ রাঙাচ্ছে ‘ডেল্টা’
১৮৮ জন করোনা আক্রান্তের নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালে।
মুম্বই: নতুন করে ২৭ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলল মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নিয়ে সে রাজ্যে ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৩। ১৮৮ জন করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে জেনোম সিকোয়েন্সি-এর জন্য পাঠানো হয়েছিল মুম্বইয়ের কস্তুরবা হাসপারালে। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে। মোট ১২৯ জনের শরীরে ডেল্টা স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে আর ২৭ জনের মধ্যে মিলেছে ডেল্টা প্লাস।
এই সব নমুনার মধ্যে দু’জনের শরীরে দেখা গিয়েছে আলফা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি। অর্থাৎ আলফা সংক্রমণের শিকার ১.০৬ শতাংশ। অন্যদিকে কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে ১২.৭৬ শতাংশের শরীরে। ১৮৮ টির মধ্যে মোট ২৪টি নমুনায় মিলেছে কাপ্পা। নিয়মিত জেনোম সিকোয়েন্সি করে ভ্যারিয়েন্ট জানার চেষ্টা করছে মহারাষ্ট্র। কী ভাবে ভাইরাসের মিউট্যান্ট ছড়িয়ে পড়টে, তা জানার জন্য এই প্রক্রিয়া চালু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩,৬৪৩ জন। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এত কমল সংক্রমণ। এ ছাড়া একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬,৭৯৫ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমেছে মহারাষ্ট্রে। অবশেষে ৫০ হাজারের নীচে নেমেছে সেই সংখ্যা। সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৯ হাজার ৯২৪ জন সক্রিয় রোগী রয়েছে সে রাজ্যে। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪ ঘণ্টায় ৩,৩৬৫ জন। তারপর থেকেই সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
অতিমারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪,২৮,২৯৪। আর মোট মৃতের সংখ্যা ১,৩৬,০৬৭। এখনও পর্যন্ত মোট ৬২,৩৮,৭৯৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে সুস্থতার হার ৯৭.০৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ২.১১ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে পুনেতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ২৪ ঘণ্টায় পুনেতে আক্রান্ত হয়েছে ১৬২৮ জন। এ ছাড়া কোলাপুরে ৭৫৭ জন, নাসিকে ৬২৮ জন ও মুম্বইতে ৪৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে।
ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এ বার আরও বড়সড় বিপদের ইঙ্গিত দিল নীতি আয়োগ। সোমবার একদিকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা পড়েছে সেই রিপোর্ট। তার মধ্যে নতুন করে তৃতীয় ঢেউ কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেই আশঙ্কার কথা জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ দিন নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে ধাক্কা মারার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। আর তেমনটা হলে দিনপ্রতি আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ লক্ষ হতে পারে। আরও পড়ুন: পুজোর মুখেই চরমে ‘থার্ড ওয়েভ’! রিপোর্ট জমা পড়ল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে