ভারতের সবথেকে বড় লাইসেন্স দুর্নীতি, সিবিআই জালে একাধিক জেলাশাসক
ভুয়ো নথি নিয়ে টাকার বিনিময়ে পাইয়ে দেওয়া হত বন্দুকের লাইসেন্স। শনিবার এই কেলেঙ্কারির তদন্তেই কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই।
শ্রীনগর: বেআইনি অস্ত্রের ডিলারদের সঙ্গে যোগ ছিল কাশ্মীরের একাধিক জেলাশাসকের। ২০১২ থেকে অনেককে বেআইনিভাবে বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছেন তাঁরা। শনিবার দিনভর তল্লাশি চালানোর পর এমনটাই জানালেন সিবিআই আধিকারিকরা। টাকার বিনিময়ে এই জেলাশাসকেরা ২.৭৮ লক্ষ বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ভারতে এটাই বেআইনি অস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত সবথেকে বড় দুর্নীতি বলে জানা যাচ্ছে।
যাদের বাড়িতে মূলত তল্লাশি চালানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইএএস অফিসার শহিদ ইকবাল চৌধুরী ও নীরজ কুমার। কাশ্মীরের ছয় জেলা জেলাশাসক হিসেবে কাজ করেছেন এই নীরজ কুমার। সিবিআই জানিয়েছে ওই অফিসারদের বাড়ি থেকে সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়নি, তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা। অন্তত ৩০০০ লাইসেন্স বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই দুর্নীতিতে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে এই দুর্নীতি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তবে, এই সিবিআই তল্লাশিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি। দেশ জুড়ে চলা বেআইনি অস্ত্র কেলেঙ্কারির চক্রকে হাতেনাতে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
গত বছরই আইএএস অফিসার রাজীব রঞ্জন সহ দুই অফিসারকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক শীর্ষ কর্তারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৭ সালে রাজস্থানের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড প্রথমবার এই দুর্নীতি সকলের সামনে আনে।
২০১৭ সালে যখন বেআইনি লাইসেন্সের বিষয়টি সামনে আসে, তখন আইএএস অফিসার রাজীব রঞ্জনের ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল একাধিক “মিডলম্যান”কে, যারা বেআইনি লাইসেন্স জোগাড় করে দিত। রাজীব রঞ্জনও কুপওয়ারা জেলার ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীন একাধিক বন্দুকের বেআইনি লাইসেন্স বের করেছিলেন। আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের পর উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রথম ‘শাহি’ সফর, বিশেষ নজর থাকছে সীমান্ত সমস্যায়