নদী থেকে উদ্ধার ল্যাপটপ-হার্ড ডিস্ক, অম্বানীকাণ্ডে স্পষ্ট হচ্ছে ধৃত সচিনের ভূমিকা

রবিবার দুপুরে সচিন ভাজ়ে(Sachin Vaze)-কে পূর্ব বান্দ্রার মিঠি নদীর পাড়ে নিয়ে যায় এনআইএ(NIA)। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নদীতে ডুবুরি(Divers) নামানো হয়। নদীর একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, দুটি নম্বর প্লেট ও একটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।

নদী থেকে উদ্ধার ল্যাপটপ-হার্ড ডিস্ক, অম্বানীকাণ্ডে স্পষ্ট হচ্ছে ধৃত সচিনের ভূমিকা
নদীতে প্রমাণ খুঁজতে নামল ডুবুরিরা।
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2021 | 7:54 PM

মুম্বই: অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশকর্মীর ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে উঠছে আরও। গ্রেফতারির পর প্রথমে গোটা ঘটনার দায় অস্বীকার করলেও সেই দাবি বিশ্বাস করেনি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (National Investigation Agency)। সম্প্রতি মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ি অ্যান্টিলিয়া এবং গাড়ি মালিক মনসুখ হিরেনের মৃতদেহ যে জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ধৃত মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার সচিন ভাজ়ে(Sachin Vaze)-কে। রবিবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল বান্দ্রার মিঠি নদীর ধারে। সেখানে তাঁর দেখানো জায়গা থেকেই উদ্ধার করা হল একটি হার্ড ডিস্ক ও গাড়ির নম্বর প্লেট।

মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় প্রথমে মুম্বই পুলিশ তদন্ত করলেও পরে এনআইএ নিজেদের হাতে তদন্তভার তুলে নেয়। এরপরই গোটা ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় সচিন ভাজ়েকে। সম্প্রতি তাঁকে মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে পিপিই কিট পরিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়। এরপর মনসুখ হিরেনের মৃতদেহ যেই জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানেও নিয়ে যাওয়া হয়।

এ দিন দুপুরে সচিনকে পূর্ব বান্দ্রার মিঠি নদীর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নদীতে ডুবুরি নামানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডুবুরিরা নদীর একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, দুটি নম্বর প্লেট ও একটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি কোন মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত, এই বিষয়ে কিছু জানায়নি তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন: ‘আমি ক্ষমতায় থাকব কিনা, সেটি প্রশ্ন নয়’, ভোটের পরই কীসের ইঙ্গিত দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?

অন্যদিকে, এক হোটেল মালিকের বয়ানও রেকর্ড করেছে এনআইএ। ওই ব্যক্তির দাবি, ৩ মার্চ তিনি যখন সচিন ভাজ়ের অফিসে “হাফতা” (তোলাবাজির টাকা) জমা দিতে গিয়েছিলেন, তখন মনসুখ হিরেনকে দেখেছিলেন। সচিন ভাজ়ের সেই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অপর ধৃত কন্সটেবল বিনায়ক শিন্ডে ও অন্যান্য কয়েকজন পুলিশকর্মী।

ওই হোটেল মালিক তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, দুপুর সাড়ে চারটে থেকে সন্ধে সাড়ে ছটা অবধি রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলেছিল। সেখানে মনসুখ বিড়বিড় করে “অবাস্তব দাবি” সম্পর্কে কিছু বলছিলেন। মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখার সন্দেহ, অম্বানীকাণ্ডের দায়ভার স্বীকার করার জন্যই মনসুখকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সেই দাবি মানতে অস্বীকার করায় সচিন ও বাকি চক্রীরা মিলে ৫ মার্চ তাঁকে খুন করে থানের ওই জলাশয়ে ফেলে দেয়।

আরও পড়ুন: ‘লকডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকুন’, হুঁশিয়ারি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর