Uttarkashi rescue operation: ফাটছে বাজি, উত্তরকাশীতে যেন অকাল দিওয়ালি, শ্রমিকরা বেরোতেই উঠল ভারত মাতা কী জয় স্লোগান
Uttarkashi rescue operation: একদিকে বরফ পড়ার পূর্বাভাস মিলেছিল। উত্তরকাশীর যে জ়োনে উদ্ধারকাজ চলছে সেই এলাকায় বরাবরই তুষারপাত অত্যন্ত প্রবল হয়। ২ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তুষারপাত হতে দেখা যায়। তাই তুষারপাত হলে উদ্ধারকাজে বাধা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
উত্তরকাশী: যন্ত্র হার মানলেও ১৭ দিনের মাথায় হাতে মাটি খুঁড়েই এসেছে সাফল্য। এদিনই সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৫ মিনিটে মাটির নিচে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যান এনডিআরএফের আধিকারিকেরা। রাত ৮টা নাগাদ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে সেই সময়ই প্রথম ৪১ শ্রমিকের মধ্যে বাইরে করে আনা হয় ১ জনকে। এদিকে সুড়ঙ্গের বাইরে তখন চলছে ভারত মাতা কী জয় স্লোগান। যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের চরমে উঠেছিল প্রতিকূলতা। একদিকে বরফ পড়ার পূর্বাভাস মিলেছিল। উত্তরকাশীর যে জ়োনে উদ্ধারকাজ চলছে সেই এলাকায় বরাবরই তুষারপাত অত্যন্ত প্রবল হয়। ২ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তুষারপাত হতে দেখা যায়। তাই তুষারপাত হলে উদ্ধারকাজে বাধা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাসও। ফলে স্বভাবতই সুড়ঙ্গের মধ্যে থাকা শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
এদিকে ৮টা নাগাদ এক শ্রমিককে উদ্ধার করতেই যেন উদ্ধারস্থলে শুরু হয়ে যাওয়া অকাল দিওয়ালি। ফাটতে শুরু করে বাজি। এনডিআরএফের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, “নিরাপদেই সকলেই বাইরে বের হচ্ছেন। কোনও অসুবিধা নেই। এখনও পর্যন্ত ২ থেকে ৩ জন বাইরে এসে গিয়েছেন। মেডিকেল টিম তৈরি হয়েছে। আর এখন কোনও সমস্যা নেই। একজন শ্রমিককে উদ্ধার করতে আমাদের ১৫ মিনিটের কাছাকাছি লাগছে।”
এদিকে তিনি যখন এ কথা বলছেন তখন বাইরে দাঁড়িয়ে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স। তৈরি ডাক্তার থেকে নার্স, মেডিকেল স্টাফরা। উদ্ধারের পর দ্রুত তাঁদের তুলে দেওয়া হচ্ছে এই অ্য়াম্বুলেন্সগুলিতে। কার কীরকম শারীরিক অবস্থা, কে কী বলছেন, কার কোন অসুবিধা হচ্ছে সবটাই শুনছেন ডাক্তারেরা। নোটও রাখছেন।