RMP Regulations 2023: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় বদল, ‘বেপরোয়া’ রোগীদের ফিরিয়েও দিতে পারবেন ডাক্তাররা
NMC RMP Regulations 2023: কোন রোগীদের তিনি চিকিৎসা করবেন, আর কাদের করবেন না, তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে চিকিৎসকদের। একমাত্র মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে, এমন রোগীদের চিকিৎসা করা বাধ্যতামূলক। তবে, কারও চিকিৎসা শুরু করার পর, তাঁকে অবহেলা করা চলবে না।
নয়া দিল্লি: কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাফিলতি বা অবহেলার অভিযোগ উঠলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীদের বাঁচানোর জন্য চেষ্টার কসুর করেন না চিকিৎসকরা। তারপরও, রোগীর মৃত্যু হলে বা তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে, রোগীর পরিবারের রোষের শিকার হন চিকিৎসকরা। ক্রমে এই রোগীর পরিবারের হাতে চিকিৎসকদের নিগ্রহের ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন অব ইন্ডিয়া। রোগীরা বা তাদের আত্মীয়রা যদি ‘হেনস্থাকারী, বিশৃঙ্খল এবং হিংস্র প্রকৃতির’ হলে সেই রোগীদের রোগীদের চিকিৎসা করতে অস্বীকার করতে পারবেন। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে হিংসা প্রতিরোধ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন অব ইন্ডিয়া। এই ধরনের রোগী বা তাঁদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে কমিশনে রিপোর্ট করতে পারবেন চিকিৎসকরা। ওই রোগীদের অন্য কোথাও চিকিত্সার জন্য পাঠানো যাবে।
এনএমসি আইনের অধীনে নিবন্ধিত চিকিৎসদের জন্য, ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন রেজিস্টার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার (পেশাদার আচরণ) বিধি, ২০২৩ নামে একটি নতুন বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। এর আগে, এনএমসি আইনে নিবন্ধিত চিকিৎসকদের কোড অব মেডিকেল এথিক্স ২০০২ মেনে কাজ করতে হত। এবার এথিক্স কোডের বদলে এই নয়া বিধিগুলি মেনে কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে এনএমসি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোন রোগীদের তিনি চিকিৎসা করবেন, আর কাদের করবেন না, তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে চিকিৎসকদের। একমাত্র মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে, এমন রোগীদের চিকিৎসা করা বাধ্যতামূলক। তবে, কারও চিকিৎসা শুরু করার পর, তাঁকে অবহেলা করা চলবে না। রোগী ও তাঁর পরিবারকে স্পষ্ট করে না জানিয়ে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিৎসা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারবেন না কোনও চিকিৎসক। যদি কখনও চিকিৎসক বদলের প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে রোগীর নিজের বা তাঁর অভিভাবকের সম্মতি নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অর্থাৎ ওষুধ প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে ডাক্তারদের কোনও উপহার, ভ্রমণ সংক্রান্ত সুবিধা ইত্যাদি নেওয়া চলবে না। ডাক্তারদের তো বটেই, তাদের পরিবারের কোনও সদস্যও ওষুধ সংস্থাগুলির থেকে কোনও উপহার, ভ্রমণ সংক্রান্ত সুবিধা, আতিথেয়তা, নগদ বা আর্থিক অনুদান, সাম্মানিক অর্থ নিতে পারবেন না। তবে এই ধরনের সংস্থাগুলিতে চিকিৎসকরা যদি চাকরি করেন, সেই ক্ষেত্রে এই সংস্থাগুলি থেকে তাঁদের বেতন নিতে কোনও বাধা নেই। ওষুধ সংস্থাগুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে টাকা দিচ্ছে, এমন কোনও সিপিডি, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়া, সম্মেলন ইত্যাদিতে যুক্ত হতে পারবেন না চিকিৎসকরা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোনও রোগীর পরীক্ষা বা চিকিৎসা শুরু করার আগেই চিকিৎসককে তাঁর পরামর্শদানের মূল্য জানাতে হবে। সেই মূল্য জানার পর, রোগী যদি চিকিত্সা চালিয়ে যেতে চান, তবেই চিকিৎসক এগোবেন।