৬ পাতার সেই চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। অম্বানী কাণ্ডে জড়িত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এই তোলাবাজির কাজটি সামলাতেন। এরজন্য মুম্বইয়ের বহু রেস্তরাঁ, বার-পাবও চিহ্নিত করা হয়েছিল।
সরকার বনাম প্রাক্তন পুলিশকর্তার বিবাদ গড়ায় হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট অবধি। অবশেষে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজি কাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই ও ইডি। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অনিল দেশমুখ। এ দিকে, গত ২৩ জুলাই থানের একটি পুলিশ স্টেশনে পরমবীর সিংয়ের বিরুদ্ধেও তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন তিন ব্যবসায়ী।
তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, ২৭টি সংস্থাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন অনিল দেশমুখ ও তাঁর পরিবার। এই সংস্থাগুলিকেও ব্যবহার করা হত তোলবাজির টাকা হাত বদলের মাধ্যমে সাদা টাকায় পরিণত করতে। যে ব্যক্তি বার মালিকদের নাম ও ফোন নম্বর জোগাড় করে দিতেন, তাকেও সমন পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গতকালই আদালতে ইডি জানায়, অনিল দেশমুখের দুই ছেলে ঋষিকেশ দেশমুখ, সলিল দেশমুখ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে এই সংস্থাগুলিতে টাকা আসত। এই আর্থিক তছরুপেই বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন সচিন ভাজ়ে। তিনিই অনিল দেশমুখের নির্দেশে মুম্বইয়ের বিভিন্ন বার থেকে প্রতি মাসে তোলাবাজির টাকা আদায় করে আনতেন।
গত ৫ নভেম্বর ইডি এনআইএ আদালতে সচিন ভাজ়ের বয়ান রেকর্ডের আবেদন জানায়। অনিল দেশমুখের কাছ থেকে যে তথ্য প্রমাণগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই তাঁকে জেরা করার আবেদন জানানো হয়। বর্তমানে মুম্বই পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন সচিন ভাজ়ে। তাঁর বিরুদ্ধে গোরেগাঁওয়ে দায়ের হওয়া একটি তোলাবাজির অভিযোগের তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: Mumbai Fire: মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, মৃত ২