International Flight Resumption: এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না আন্তর্জাতিক উড়ান, ‘এয়ার বাবলে’ই হবে যাতায়াত

Omicron Scare: ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হবে না। কবে থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান স্বাভাবিক হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময়ে নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

International Flight Resumption: এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না আন্তর্জাতিক উড়ান, 'এয়ার বাবলে'ই হবে যাতায়াত
ফের আন্তর্জাতিক যাত্রীদের শরীরে ধরা পড়ল করোনা সংক্রমণ। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 5:56 PM

নয়া দিল্লি : ওমিক্রনের আতঙ্কে জুবুথুবু গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে চাইছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হবে না। কবে থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান স্বাভাবিক হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময়ে নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে আজ থেকেই ওমিক্রনের আতঙ্কে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে একগুচ্ছ কড়াকড়ি করা হয়েছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত ১৪ টি দেশের থেকে আগত বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে অনেকগুলি নতুন নিয়ম।

এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার জন্য বর্তমানে যে এয়ার বাবল পদ্ধতি চালু রয়েছে, সেই পদ্ধতিতেই উড়ান চালু থাকবে। আজ ডিজিসিএ-র থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বর্তমানে গোটা বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিনক্ষণ জানানো হবে।”

এখনও পর্যন্ত, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজ়িল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইজরায়েল থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের বিমানবন্দরে অবতরণের পর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্যদের থেকে পাঁচ শতাংশ যাত্রীরও আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে।

উল্লেখ্য, দেশের বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের নিজের খরচে আবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না পরীক্ষার রিপোর্ট আসছে, ততক্ষণ বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। তাঁর সোয়াবের নমুনা পাঠানো হবে জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য।

রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকলে, তাহলেই তাঁরা বিমানবন্দর থেকে বেরোতে পারবেন বা অন্য কোনও কানেক্টিং বিমানে উঠতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি পেলেও সাত দিন বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। অষ্টম দিনে পুনরায় করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, নেগেটিভ এলে আরও এক সপ্তাহ নিজের শারীরিক গতিবিধির উপর নজর রাখতে হবে।

মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে একান্তবাসে থাকার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও করাতে হবে। বিমানবন্দর ছাড়াও একান্তবাসে থাকার দ্বিতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম দিনে ফের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। এদের মধ্যে যে সমস্ত যাত্রীদের করোনা পররীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসবে, তাদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাদের সাতদিন বাড়িতেই একান্তবাসে থাকতে হবে। সরকারি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা ন্য়ূনতম বিধিনিষেধ হিসাবে বিমানবন্দরগুলিতে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন : Mamata in Mumbai: ছুৎমার্গ নেই কংগ্রেসে, মমতাকে পাশে নিয়ে বার্তা পাওয়ারের