গণনার কাজে পিপিই কিট ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের, আদালতের ভর্ৎসনার পরই পদক্ষেপ

আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণের পরই ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচনী দফতরের সঙ্গে।

গণনার কাজে পিপিই কিট ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের, আদালতের ভর্ৎসনার পরই পদক্ষেপ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 26, 2021 | 6:34 PM

কলকাতা: মাদ্রাজ হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার পরই সক্রিয় হয়ে উঠল নির্বাচন কমিশন। এ দিন আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণের পরই ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচনী দফতরের সঙ্গে। আগামী ২ মে ভোট গণনার সময় ভোট কর্মীদের কী কী ধরনের সতর্কতা নিতে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে। এমনটাই খবর কমিশন সূত্রে।

করোনার জেরে গোটা দেশের কার্যত জেরবার পরিস্থিতি। এই অবস্থায় আজ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী।” আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে ২ মে-এর পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে। তার সঙ্গে সাফ জানিয়েছে, যদি করোনাবিধি মেনে চলার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকে তাহলে সে দিন গণনা বন্ধ করবে হাইকোর্ট। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিচারে আদালতের এই পর্যবেক্ষণ ‘ঐতিহাসিক’ বলে বিবেচিত হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলে।

আদালতের তিরস্কারের পরই নড়েচড়ে বসেন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে সুদীপ জৈন বারবার ভোট গণনার সময় ভোট কর্মীদের পিপিই কিট পরার পক্ষে সওয়াল করেন। প্রাথমিকভাবে ভোট কর্মীদের পিপিই কিট পরার সিদ্ধান্তে প্রায় সিলমোহল দিয়েই দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। গ্রীষ্মের দাবদাহে পিপিই কিট পরে দীর্ঘ সময় ভোট গণনা নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজ্য কমিশনের কর্তারাই।

আরও পড়ুন: ‘খুনের মামলা হওয়া উচিত’, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী কমিশন, ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

রাজ্য কমিশনের কর্তাদের যুক্তি, বহু এমন প্রত্যন্ত এলাকায় ভোট গণনা হয় যেখানে ঠিক মতো ফ্যানের ব্যবস্থাও থাকে না। তার মধ্যেই ঘেমে নেয়ে কাজ করতে হয় ভোট কর্মীদের। বৈশাখের এই গরমে যদি পিপিই কিট বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে সেটা গায়ে দিয়ে গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করা এক কথায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। অতিরিক্ত ঘাম এবং গরমের জেরে ভোট কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেনস এমন আশঙ্কার কথাও জানানো হয়। অবশেষে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভোট কর্মীদের জন্য পিপিই কিট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের, আদৌ কি সম্ভব?