বেনজির সিদ্ধান্ত কমিশনের, করোনার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত একাধিক উপনির্বাচন
তিনটি লোকসভা এবং আটটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টে ভর্ৎসনার কারণেই সম্ভবত বাধ্য হয়ে কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: বাংলায় নির্বাচন চলার সময় নির্বাচন কমিশনকে একাধিক আবেদন জানানো হয়েছিল। করোনার কারণে যাতে শেষ দফার ভোটগুলি একসঙ্গে করা যায় সেই দাবি তোলা হয়। সে সময় কোনও অভিযোগে কর্ণপাত না করা হলেও অতি মহিমারির সংক্রমণের কারণে এ বার তিনটি লোকসভা এবং আটটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টে ভর্ৎসনার কারণেই সম্ভবত বাধ্য হয়ে কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে একট বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ দিন নির্বাচন কমিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড ১৯-এর মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে কমিশন মনে করছে, এই সময় উপনির্বাচনের আয়োজন করা উচিত হবে না। সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
ইতিপূর্বেই কোভিডের কোপে বাংলার দুই বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর, এই দুই বিধানসভার ক্ষেত্রেই সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। তারপর নতুন করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেও কমিশন পরে তা থেকে পিছিয়ে আসে। করোনায় মৃত খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার স্ত্রী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করেন।
আরও পড়ুন: অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার কাদের মন্ত্রী করতে চলেছেন মমতা? রইল সম্ভাব্য তালিকা
এই পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে নির্বাচন আয়োজন করা বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত হবে না বুঝতে পেরেই আপতত বেশ কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য কমিশন স্থগিত রাখল। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। যদিও এভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার নজির খুব একটা নেই কমিশনের। এর আগে ১৯৭৫ সালে দেশব্যাপীর ইমার্জেন্সির সময় এভাবে একবার ভোট পিছিয়ে দিতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আমফানের পর ‘মমতাফান’ দেশভাগের হত্যালীলার কথা মনে করাচ্ছে: জেপি নড্ডা