Jharkhand Politics : হেমন্তের পরই এল বসন্ত, ঝাড়খণ্ডে যেন ঋতু বদল
Jharkhand Politics : হেমন্ত সোরেনের পর এবার বসন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে রাজ্যপাল রমেশ বেইসের কাছে মতামত পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকালই সেই চিঠি পেয়েছেন রাজ্যপাল।
রাঁচি : ঝাড়খণ্ড শাসক শিবিরে ফের কিছু়টা বাড়ল অস্বস্তি। এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ভাই তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক বসন্ত সোরেন পড়লেন অস্বস্তিতে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, জেএমএম নেতার বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়ে রাজ্যপালে রমেশ বেইসের কাছে নিজের মতামত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল সন্ধেবেলাই সেই চিঠি পেয়েছেন বেইস। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ এর ৯এ ধারা অনুসারে কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সরকারের পণ্য সরবরাহ বা কোনও কাজ সম্পাদনের জন্য ব্য়ক্তিগতভাবে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন না। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিজের নামে খনি ইজারা দিয়েছেন। সেই অবৈধ খনিতে মালিকানা রয়েছে তাঁর ভাই তথা জেএমএম বিধায়ক বসন্ত সোরেন। এবং নির্বাচনী হলফনামায় তা প্রকাশও করেননি বসন্ত। এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়করা বসন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানান। সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল রমেশ বেইসের। এই বিষয়ে ২৯ অগস্ট শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপর গতকাল সন্ধেয় রাজ্যপালকে নিজেদের মতামত জানিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, এই একই অভিযোগে মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি ওঠে। সেই মর্মে নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি পাঠানোও হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেখানে হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়েই জানানো হয়েছে। তবে সেই সংক্রান্ত এখনও কোনও নির্দেশ রাজ্যপালের তরফে খোলসা করে বলা হয়নি। এদিকে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো মুখ বন্ধ খাম ঘিরেই ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে বেশ কয়েকদিন ধরে টানাপোড়েন দেখা গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে সরকার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল শাসক জোটের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই ৩২ জন বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে পাঠানো হয়েছিল। এই আবহে ৮১ টি আসন সমন্বিত ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় সংগঠিত আস্থাভোটে ৪৮ টি আসন পেয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির জোট সরকার। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেও বিপদ এখনও কাটেনি। উল্টে দুশ্চিন্তা বাড়ল শাসক শিবিরে।