Electricity Bill: পেট্রোল, ডিজেল আর রান্নার গ্যাসের মতোই বাড়তে চলেছে বিদ্যুৎ বিল

Electricity Bill: এনার্জি সেক্টরের কোম্পানিগুলি বড়সড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সমস্যা থেকে টেনে তুলতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আপনার বিদ্যুতের বিল বাড়া এক প্রকার নিশ্চিত। কয়লার মূল্যবৃদ্ধি মাথায় রেখে সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে।

Electricity Bill: পেট্রোল, ডিজেল আর রান্নার গ্যাসের মতোই বাড়তে চলেছে বিদ্যুৎ বিল
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 3:43 PM

নীতিগত দুর্বলতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলির পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলিও বড়সড় লোকসানের মুখ দেখছে। যদি সহজ ভাষায় বলা হয়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি আলাদা হয়। কিন্তু এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে এনার্জি সেক্টরের কোম্পানিগুলি বড়সড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সমস্যা থেকে টেনে তুলতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আপনার বিদ্যুতের বিল বাড়া এক প্রকার নিশ্চিত। সাবধান! দেশের মূল্যবৃদ্ধির থাবা এখন আরও তীক্ষ্ণ হতে চলেছে। কয়লার মূল্যবৃদ্ধি মাথায় রেখে সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে।

জানুন সরকারের নতুন নিয়মের ব্যাপারে

১. অটোমেটিক পাস থ্রু মডেলের অধীনে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন ইন্ধনের দাম বাড়বে তখন রাজ্যের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলি অর্থাৎ ডিস্কমকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য বেশি মূল্য চোকাতে হবে। রাজস্থানে ইতিমধ্যেই তা শুরু হয়ে গিয়েছে। জয়পুর, জোধপুর আর আজমেরে ডিস্কম বিদ্যুতের গ্রাহকদের উপর ৩৩ পয়সা প্রতি ইউনিট ফুয়েল সারচার্জ চাপিয়েছে। এর পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণির গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল বাড়বে। অন্য রাজ্যগুলিতেও দ্রুতই এমনটা হতে পারে।

২. সরকারের দুর্বল নীতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলির সঙ্গে বিতরণ কোম্পানিগুলিও বড় লোকসানের মুখ দেখছে। এর ফলে দেশের এনার্জি সেক্টর বড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশ সৌর শক্তির জন্য যতই রেকর্ড ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করে ফেলুক, কিন্তু এখানে এখনও শক্তির প্রধান সোর্স কয়লাই। এই চাহিদা পূরণ করার জন্য বেশি মাত্রায় কয়লার আমদানি করতে হচ্ছে।

৩. এই অবস্থায় যখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়বে তখন শক্তি উৎপাদনকারী কোম্পানি গুলির মূলধনও বাড়বে। ফলে স্বভাবতই তারা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করবে। অটোমেটিক পাস থ্রু মডেল রূপী হাতিয়ার ব্যবহার করে এই কোম্পানিগুলি রাজ্যগুলিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। এরপর ডিস্কমও বিদ্যুতের দাম বাড়াবে।

৪. সরল ভাষায় বুঝতে গেলে এই নতুন নিয়ম পেট্রোল, ডিজেল আর রান্নার গ্যাসের দাম পরিবর্তনের মতো কাজ করবে। এর ফলে দ্রুতই পেট্রোল, ডিজেল আর রান্নার গ্যাসের মতো বিদ্যুতের দামও প্রতিদিন বাড়তে দেখা যেতে পারে। যেহেতু মূল্যবৃদ্ধি সেই টুথপেস্টের মতো, যা একবার বেরলে আর ভেতরে ঢোকানো যায় না। স্বাভাবিক যে বিদ্যুতের দাম বাড়লে তা কমার জায়গা ভীষণই কম। সমস্ত রাজ্যের ডিস্কম আগে থেকেই বিশাল ঋণের চাপে ডুবে রয়েছে, ফলে তাদের কাছ থেকে স্বস্তির আশা কীভাবেই বা করা যেতে পারে।

৫. এই বিষয়ে তেল বিপণন কোম্পানিগুলির উদ্দেশ্যও সর্বজনবিদিত। যখন তারা দাম ঠিক করার স্বাধীনতা পেয়েছে, তাদের ত্রৈমাসিক মুনাফা নিয়মিত বেড়েই চলেছে। নিজেদের কর্মচারীদের সুবিধার্থে তারা জমিয়ে খরচা করছে কিন্তু যখন অপরিশোধিত তেলের দাম কমে তো বেশি বিনিয়োগের বাহানা বানিয়ে তখন তারা সমস্ত মুনাফা হাসিল করে নেয়। জানিয়ে দিই ভারতে ৬০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ফসিল ফিউল থেকে হয়। যদি একটি রাজ্য বিদ্যুতের দাম বাড়ায় তাহলে অন্যান্য রাজ্যগুলিও সেই পথেই হাঁটবে।

আরও পড়ুন: Petrol Price Today: স্বস্তি দিয়ে কমল অপরিশোধিত তেলের দাম, কমতে পারে পেট্রোল ডিজেলের দাম