ট্রাকে লুকিয়েও হল না শেষরক্ষা, জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে এনকাউন্টারে খতম ৪ জইশ জঙ্গি
জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে নিরাপত্তাক্ষীদের গুলিতে খতম চার জইশ জঙ্গি, আসন্ন জেলা পরিষদ উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচনে ছিল হামলার পরিকল্পনা, জানানো হয়েছে পুলিস সূত্রে
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ট্রাকে লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না। জম্মু-শ্রীনগর (Jammu and Kashmir) জাতীয় সড়কে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিকেশ হল চার সন্দেহভাজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি (Terrorist)। বৃহস্পতিবার সকালে হাইওয়ের কাছে নাগ্রোটা এলাকায় খতম করা হয় চারজনকেই। তবে গুলির লড়াই চলাকালীন এক পুলিসকর্মী আহত হন। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ‘বড় হামলার পরিকল্পনা’ নিয়ে তারা কাশ্মীর উপত্যকার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে তার আগেই খেল খতম করে নিরাপত্তারক্ষীরা।
এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ জম্মু শহরের অদূরে নাগ্রোটা এলাকায় বান টোল প্লাজার কাছে একটি ট্রাক আটকানো হয় নিয়মমাফিক তল্লাশির জন্য। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, সাম্বা সেক্টর থেকে নাগ্রোটা টোল প্লাজার দিকে জঙ্গিদের গতিবিধি বৃদ্ধি পেতে চলেছে। সেই মতো সিআরপিএফ-র ১৬০ ও ১৩৭ নম্বর ব্যাটালিয়ন আগে থেকেই তৈরি ছিল। ট্রাকটিকে ধরা হলেই তার চালক চম্পট দেয়। তারপর থেকেই জঙ্গিদের সঙ্গে মুখোমুখি এনকাউন্টার শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। গুলির লড়াই থামার পর ওই জঙ্গিদের কাছে থেকে ১১টি একে ৪৭ রাইফেল, তিনটি পিস্তল এবং ২৯টি গ্রেনেড উদ্ধার হয়।
ঘটনার পর হাইওয়েতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে তল্লাশি শুরু হয়। গোটা এলাকার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। জম্মুর আইজিপি মুকেশ সিং জানিয়েছেন, ‘ড্রাইভার পলাতক, সন্ধান জারি হয়েছে। ওদের (মৃত চার জঙ্গির) সম্ভবত বড় কোনও হামলার ছক ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র আগে উদ্ধার হয়নি। হতেই পারে ওরা জম্মু কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ‘বিভিন্ন পদ থেকে সরানো হয়েছিল সৌমিত্রকে, মৃত্যুর পর নাটক হল’, বিস্ফোরক অধীর
সাংবাদিক বৈঠক করে আইজিপি মুকেশ সিং আরও বলেন, ‘এনকাউন্টার প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলেছিল। সিআরপিএফ জওয়ান এবং পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি ছোড়া হয়।’ এমন কী জঙ্গিরা গ্রেনেডও ছুড়েছিল বলে জানান তিনি। এর আগে গতকালও কাশ্মীরের পুলওয়ালায় জঙ্গি হামলার খবর মেলে। পুলওয়ালার কাকাপোরায় সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড হামলা করে। আঘাত পান ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা।