Mohan Bhagwat: ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিই হিন্দু: মোহন ভাগবত
RSS chief Mohan Bhagwat: ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিই হিন্দু। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ছত্তিশগড়ের সুরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবকদের এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
রায়গঢ়: ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিই হিন্দু। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ছত্তীসগঢ়ের সুরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবকদের এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি আরও বলেন, সকল ভারতীয়র শরীরে একই ডিএনএ রয়েছে। তাই কোনও ভারতীয়রই ঈশ্বর আরাধনার উপায় পরিবর্তন করার দরকার নেই। এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বারবারই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই ভারতের প্রাচীন বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করেন ভাগবত। তিনি আরও বলেন, “বিশ্বে হিন্দুত্বই একমাত্র ধারণা যা সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলায় বিশ্বাসী।”
মোহন ভাগবত বলেন, “আমরা সেই ১৯২৫ সাল থেকেই বলে আসছি যে, ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেকেই হিন্দু। যারা ভারতকে তাদের ‘মাতৃভূমি’ বলে মনে করে এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায় এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস এবং আদর্শ যাই হোক না কেন, এই পথে এগোনোর চেষ্টা করেন, তারা সকলেই হিন্দু।” প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সলেই আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বস্তুত, ভারতে বসবাসকারী সকলের ডিএনএ-ই যে এক, এই মন্তব্য এর আগেও করেছেন মোহন ভাগবত। চলতি বছরের জুলাই মাসেও আরএসএস-এর মুসলিম শাখা, ‘মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ’ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন আরএসএস প্রধান। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “সমস্ত ভারতীয়দের ডিএনএ একই এবং পূজা-আচ্চার ভিত্তিতে তাদের আলাদা করা যায় না। হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ধারণাটিই বিভ্রান্তিকর। এখানে ঐক্যের কিছু নেই, কারণ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও পার্থক্যই নেই। এখানে হিন্দু বা মুসলমানের কোনও আধিপত্য থাকতে পারে না। শুধুমাত্র ভারতীয়দের আধিপত্য থাকতে পারে।”
ওই অনুষ্ঠানে তিনি সংখ্যালঘুদের গণপিটুনির ঘটনারও নিন্দা করেছিলেন মোহন ভাগবত। তিনি জানিয়েছিলেন, যারা এই ধরনের হিংসায় জড়িত, তারা “হিন্দুত্ব বিরোধী”। তিনি বলেছিলেন, “যদি কোনও হিন্দু বলে যে ভারতে কোনও মুসলমানের বসবাস করা উচিত নয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হিন্দু নয়। গরু একটি পবিত্র প্রাণী, কিন্তু যারা মারধর করছে তারা হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কোনো পক্ষপাত ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”