S jaysankar at UNSC: ‘সন্ত্রাসবাদের কোনও অজুহাত হয় না’, চিন-পাকিস্তানকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রীর
S jaysankar on Terrorism: সম্প্রতি লস্কর-ই-তইবা মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত জঙ্গি সাজিদ মীরকে কালো তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ফের বাধা দিয়েছে চিন।
ওয়াশিংটন: একবার নয়, বারবার বাধা দেওয়া হয়েছে। যখনই কোনও সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছে ভারত, তখনই বাধা দিয়েছে চিন। সম্প্রতিও ঘটেছে এমন ঘটনা। আর এবার রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে নাম না করে পাকিস্তান ও চিনকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নাম না করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, যারা এই কাজ করছে তাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিও হবে না, ভাবমূর্তিও নষ্ট হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে জয়শঙ্কর দাবি করেছেন, নিজেদের স্বার্থের জন্যই কেউ কেউ জঙ্গিদের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা থেকে আটকাচ্ছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বারবার ভারতে সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয়েছে, তাই ভারত কোনওভাবেই সন্ত্রাস বরদাস্ত করবে না। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের কোনও অজুহাত হয় না। কোনও অলঙ্কারই রক্তের দাগ মুছতে পারে না।’
এই ভাষাতেই পাকিস্তান ও চিনকে বিদেশমন্ত্রী বার্তা দিতে চেয়েছেন। কারণ একাধিকবার চিনের তরফে বাধা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম চিন ভেটো দিলে সন্ত্রাসাবদীকে কালো তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয় না। আর এই ঘটনাই বারবার ঘটে থাকে ভারতের সঙ্গে। সেপ্টেম্বর মাসেও এমন ঘটনা ঘটেছে। মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সাজির মীরকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চেয়েছিল ভারত। সে ক্ষেত্রে আমেরিকার সমর্থনও ছিল। কিন্তু তাতেও বাধা দেয় চিন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের আগেই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি স্নেহা দুবে সরাসরি পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জ যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে, তাদের আশ্রয় দেওয়ার একটি বিশাল তালিকা রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, যা কখনও এড়ানো যায় না”।
ইমরান খানকে জবাব দিতে গিয়ে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, “সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের। ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে আশ্রয় পেয়েছিল। এমনকি, আজও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে শহিদ বলে আখ্যান দেন।” একই সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের যা অবস্থান, তা নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।