Akhilesh Yadav on Farm Laws: ‘ভোটের পর আবার ফিরতে পারে কৃষি আইন’, সংশয়ে সপা
Farm Laws: অখিলেশ যাদবের বক্তব্য, "শত শত কৃষকের মৃত্যুর জন্য দায়ী দোষীদের কবে শাস্তি হবে তার জবাব দিতে হবে বিজেপিকে।"
লখনউ: গুরু নানক জয়ন্তীর সকালে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিন কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এই আইনগুলি বাতিল করা হবে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই আকস্মিক ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিশেষ করে বিরোধীদের একাংশ যেন কিছুতেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না। সেই তালিকায় রয়েছে সমাজবাদী পার্টিও। তাদের বক্তব্য, ভোট মিটলে, আবার এই তিনটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
কৃষি আইনের বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে একাধিক রাজনৈতিক দল যে নিজেদের আখেড় গোছাতে যে ব্যস্ত ছিল, তার একটি ইঙ্গিত আজ আবারও পাওয়া যাচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তবে কি নিছক রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই কৃষক বিক্ষোভকে হাতিয়ার করেছিল কিছু রাজনৈতিক দল? যথেষ্ট সঙ্গত কারণেই প্রশ্নটা উঠছে। কারণ, কেন্দ্রের এই সাহসী পদক্ষেপের পর থেকে কৃষি আইনের বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে আখেড় গোছানোর পথ বন্ধ বিরোধীদের। আর তাতেই কি ফোঁস করছেন বিরোধী নেতারা?
আজ তো সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেই বসলেন, কৃষকদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নয়, বরং আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ এই নিয়ে নতুন স্লোগানও তৈরি করে অখিলেশের দল, “সাফ নাহি হ্যায় ইনকা দিল, চুনাও বাদ ফির লায়েঙ্গে বিল।” অর্থাৎ, বিজেপির মন পরিষ্কার নয়। ভোটের পর আবার বিল আনবে। এমনটাই মনে করছেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদব।
अमीरों की भाजपा ने भूमिअधिग्रहण व काले क़ानूनों से ग़रीबों-किसानों को ठगना चाहा। कील लगाई, बाल खींचते कार्टून बनाए, जीप चढ़ाई लेकिन सपा की पूर्वांचल की विजय यात्रा के जन समर्थन से डरकर काले-क़ानून वापस ले ही लिए।
भाजपा बताए सैंकड़ों किसानों की मौत के दोषियों को सज़ा कब मिलेगी।
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) November 19, 2021
সপা প্রধান অখিলেশ যাদব আজ এক টুইটে লিখেছেন, “ যে ধনীরা জমি অধিগ্রহণ করে এবং দরিদ্র কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে চেয়েছিল, বিজেপি তাদের সঙ্গে কাজ করছে এই তিনটি আইনের মাধ্যমে। ওই দল কৃষকদের আটকাতে পেরেক ব্যবহার করেছে, তাদের চুল টেনে ধরেছে, কৃষকদের কার্টুন তৈরি করেছে, তাদের গাড়ি চাপা দিয়েছে, কিন্তু পূর্বাঞ্চলে সপার বিজয় যাত্রায় জনসমর্থনের ভয় তাদের কালো আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।”
তাঁর আরও বক্তব্য, “শত শত কৃষকের মৃত্যুর জন্য দায়ী দোষীদের কবে শাস্তি হবে তার জবাব দিতে হবে বিজেপিকে।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন বা বারংবার আলোচনাতেও সমাধানসূত্র না মেলার জন্য কৃষকদের দোষারোপ করেননি প্রধানমন্ত্রী। বরং তাদের কৃষি আইনের সুফল বোঝাতে না পারায় নিজেই ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হয়তো আমাদের প্রচেষ্টাতেই কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আমরা কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। আমি গোটা দেশকে জানাচ্ছি যে আমরা তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চলতি মাসের শেষেই যে সংসদ অধিবেশন শুরু হচ্ছে, তাতে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার যাবতীয় কাজ শেষ হবে।”