Narendra Modi: ‘কারও কারও লক্ষ্যই থাকে, কীভাবে কৃষকদের জীবন দুর্বিষহ করা যায়’, কড়া আক্রমণ নমোর

Narendra Modi at Mahoba: সরাসরি কোনও দলের নাম না করে তাঁর আক্রমণ, কিছু রাজনৈতিক দলের লক্ষ্যই থাকে, কীভাবে কৃষকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে রাখা যায়।

Narendra Modi: 'কারও কারও লক্ষ্যই থাকে, কীভাবে কৃষকদের জীবন দুর্বিষহ করা যায়', কড়া আক্রমণ নমোর
(ছবি - ANI)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2021 | 6:50 PM

মাহোবা (উত্তর প্রদেশ) : সকালে সবাইকে চমকে দিয়ে এক সাহসী ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন। আর তারপর থেকেই বিরোধী শিবিরের অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। এবার সেই সবের জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদী। সরাসরি কোনও দলের নাম না করে তাঁর আক্রমণ, কিছু রাজনৈতিক দলের লক্ষ্যই থাকে, কীভাবে কৃষকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে রাখা যায়।

আজ উত্তর প্রদেশের মাহোবায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি কৃষকদের দাবি দাওয়া, চাহিদা কখনও পূরণ করতে চায় না।” কারও নাম না করলেও প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারই ছিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি “সমস্যার রাজনীতি” করে। আর অন্যদিকে বিজেপি “সমাধানের রাজনীতি”-তে বিশ্বাসী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিবারতান্ত্রিক দল দ্বারা যে সরকার চলে, তারা সবসময় কৃষকদের সমস্যার মধ্যে রেখে দিতে চায়। তারা কৃষকদের নামে শুধু ঘোষণা করতেই অভ্যস্ত। কিন্তু বাস্তবে সেই ঘোষণার সিকি ভাগও কৃষকদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির মাধ্যমে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।”

এখানেই শেষ নয়, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগও তুললেন বিরোধীদের দিকে। বললেন, কিছু রাজনৈতিক দলের লক্ষ্যই থাকে, কীভাবে কৃষকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে রাখা যায়। তারা সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করে, আর আমরা সমাধানের রাজনীতি করি। আমাদের সরকারই কেন-বেটওয়া লিঙ্ক করেছে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারপরই আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি।”

উল্লেখ্য আজ উত্তর প্রদেশের মাহোবা জেলায় এক সরকারি সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে রয়েছে অর্জুন সহায়ক প্রকল্প, রাতাউনি ওয়ের প্রকল্প, ভানু বাঁধ প্রকল্প, মাঝগাঁও- চিলি স্প্রিংকলার প্রকল্প। এই সব প্রকল্পগুলি মিলিয়ে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করছে সরকার। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যে মাহোবা, হামিরপুর, বান্দা ও ললিতপুর জেলার মোট ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের কাজে অনেক উপকার হবে বলে আশাবাদী সকলে।

এদিকে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, “দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই হয়তো এই কথাটি অজানা যে, আমাদের দেশের ১০০ জন কৃষকের মধ্যে ৮০ জনই ছোট কৃষক। তাদের কাছে দুই হেক্টরেরও কম জমি রয়েছে। এই ছোট কৃষকদের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। আমরা কৃষকদের উন্নয়ন ও মঙ্গল কামনাতেই সয়েল হেলথ কার্ড,  ইউরিয়া, উন্নত মানের বীজ প্রদান করে কৃষিকাজে যথাসাধ্য় সাহায্য করেছি। ফসল বীমা যোজনার অধীনে আরও কৃষকদের আনা হয়েছে। এরফলে বিগত চার বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কৃষকরা।”

আরও পড়ুন : Amarinder Singh questions Farmer Protest: এখনও কীসের বিক্ষোভ? কৃষক নেতাদের প্রশ্ন অমরিন্দরের