Samajwadi Party on Farm laws: ‘ভোটের পরই ফিরতে পারে কৃষি আইন’, কেন্দ্রকে টুইট বাণ সমাজবাদী পার্টির!

Samajwadi Party Claims Farm Laws will be back: সমাজবাদী পার্টির তরফে হিন্দিতে একটি টুইটে বলা হয়, "স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ওনাদের মন পরিস্কার নয়। বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলেই এই বিল ফেরত আনা হবে।"

Samajwadi Party on Farm laws: 'ভোটের পরই ফিরতে পারে কৃষি আইন', কেন্দ্রকে টুইট বাণ সমাজবাদী পার্টির!
কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘিরেও শুরু রাজনৈতিক তরজা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 7:03 PM

লখনউ: কৃষকদের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বিতর্কিত তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করলেও, তা ভাল চোখে দেখছে না উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র অন্য়তম বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। রবিবারই দলের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, “বিধানসভা নির্বাচনের পরই ফের কৃষি আইন ফেরত আনা হতে পারে।”

শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কৃষকদের একাংশের দাবি মেনে গত বছরেই আনা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। এই নিয়ে দেশজুড়ে কৃষক ও বিরোধী দলগুলি উচ্ছাস প্রকাশ করলেও, শনিবারই রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র (Kalraj Mishra) ও  উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ (Sakshi Maharaj) বলেছিলেন যে, এই আইন ফিরিয়ে আনা হতে পারে।  দুই বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই উত্তর প্রদেশে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে সমাজবাদী পার্টি।

এ দিন সমাজবাদী পার্টির তরফে হিন্দিতে একটি টুইটে বলা হয়, “স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ওনাদের মন পরিস্কার নয়। বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলেই এই বিল ফেরত আনা হবে। সাংবিধানিক পদে বসেই রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র ও বিজেপি সাংসদ সাক্ষা মহারাজ বলেছেন যে বিজেপি সরকার ফের কৃষি আইন ফেরত আনতে পারেন। যারা কৃষকদের কাছে ক্ষমা চাইছিলেন, এটাই তাদের আসল সত্য। কৃষকরাই ২০২২ সালে পরিবর্তন আনবে।”

শনিবারই রাজস্থানের রাজ্যপাল বলেন, “কৃষি আইনের লাভগুলি কৃষকদের বোঝানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের দাবিই জানাচ্ছিল এবং আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল। সরকারের মনে হয়েছে, তাই আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, তবে ফের আইন ফেরত আনা হতেই পারে।”

অন্যদিকে, উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ বলেন, “বিল তৈরি করা হয় এবং তা প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। আবার বিল আসবে, আবার নতুন আইন তৈরি হবে। এগুলিতে খুব একটা সময় লাগে না। তবে আমি মোদীজীকে ধন্য়বাদ জানাতে চাই নিজের বড় হৃদয়কে সামনে আনার জন্য এবং আইনের উর্ধ্বে দেশকে বেছে নেওয়ার জন্য। যাদের খারাপ উদ্দেশ্য ছিল, যারা পাকিস্তান জিন্দাবাদ ও খলিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছিল, তাদের কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে।”

বিজেপির দাবি, আগামী বছর উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের সঙ্গে কৃষি আইন প্রত্যাহারের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রায় দীর্ঘ এক বছর ধরে দেশের কৃষকদের একাংশকে কৃষি আইনের মহৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও, তারা না বোঝায় এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাক্ষী মহারাজও বলেন, “আসন্ন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০০-রও বেশি আসন পাবে। দেশে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদাজী এবং উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী আদিত্যনাথজীর কোনও বিকল্প নেই। তাদের ম্যাজিক থাকবেই।”

আরও পড়ুন: Amarinder Singh on Punjab Poll: ‘সিধুর জন্য আসন ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না’, নিজের ‘গড়’ থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন ক্যাপ্টেন