ডিসেম্বরেও উত্তাপ বাড়ছে দিল্লিতে, কৃষক আন্দোলন নিয়ে আজই মুখোমুখি অমিত শাহ-অমরিন্দর

এই আন্দোলন গোটা দেশের কৃষক সমাজের, বলছেন আন্দোলনকারীরা।

ডিসেম্বরেও উত্তাপ বাড়ছে দিল্লিতে, কৃষক আন্দোলন নিয়ে আজই মুখোমুখি অমিত শাহ-অমরিন্দর
Follow Us:
| Updated on: Dec 03, 2020 | 9:32 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় ক্রমেই জোরালো হচ্ছে প্রতিবাদ। ডিসেম্বরের দিল্লিতে বাড়ছে উত্তাপ। পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে শুরু হলেও এই কৃষক আন্দোলনের (Farmer’s Protest) আগুন ধীরে ধীরে গোটা দেশেই ছড়াতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার এই আন্দোলন অষ্টম দিনে পড়ল। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের। অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে দেখা করার কথা কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের। দুপুর ১২ টা নাগাদ প্রায় ৩২টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। বিজ্ঞান ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা।

গত কয়েকদিনে আমূল বদলে গিয়েছে দেশের রাজধানীর চিত্রটা। বিভিন্ন জায়গায় সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র সরকার নতুন যে কৃষি আইনের ঘোষণা করেছে তা রদ করতে হবে। যদিও মোদী সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। এখনও অবধি এমন কোনও ইঙ্গিত দেয়নি, যাতে এই কৃষক আন্দোলনের আঁচ খানিক স্তিমিত হতে পারে।

আরও পড়ুন: একগুঁয়ে সরকার, অনড় অন্নদাতারাও! ক্ষেতের লড়াই কীভাবে রাজধানীতে আছড়ে পড়ল?

ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, নতুন তিন কৃষি আইন রদ না করা হলে দিল্লির সমস্ত পথ তাঁরা আটকে দেবেন। তাঁরা চান, পঞ্জাবের পাশাপাশি গোটা দেশের কৃষক-প্রতিনিধিকে ডেকে আলোচনা করুক সরকার। এই আন্দোলনের জেরে দিল্লি-নয়ডার সংযোগকারী পথ এক প্রকার বন্ধ। চিল্লা গাঁওয়ের কাছে দিল্লি-নয়ডা সীমানা স্তব্ধ। সেখানেই অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী কৃষকদের একটা বড় অংশ। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সীমানা বন্ধের খবর আসছে। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, “প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ না এই সমস্যার একটা সমাধানসূত্র বের করছেন, আমরা দিল্লি ছেড়ে কোথাও যাব না।”

আরও পড়ুন: বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, উত্তপ্ত জগদ্দল

এই আন্দোলনে গুজরাটের কৃষকদেরও একটি দল রয়েছে। সিংঘু বর্ডারে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। আন্দোলনকারীদের কথায়, যতই বলা হোক এই আন্দোলন হরিয়ানা কিংবা পঞ্জাবের কৃষকদের, সত্যিটা তা নয়। আন্দোলন গোটা দেশের কৃষক সমাজের। এই ঐক্যবদ্ধতার বার্তা দিতেই তাঁদের দিল্লি আসা।