Wrestlers’ Protest: দিল্লি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কুস্তিগিরদের প্রতিবাদে সামিল কৃষকরাও, দেখুন ভিডিয়ো

Farmers join Wrestlers' Protest: দিল্লি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যন্তর মন্তরে অবস্থানরত কুস্তিগিরদের সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দিলেন দেশের কৃষকদের একাংশ। কৃষকরা ভুল করছেন বলে দাবি ব্রিজভূষণ শরন সিং-এর।

Wrestlers' Protest: দিল্লি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কুস্তিগিরদের প্রতিবাদে সামিল কৃষকরাও, দেখুন ভিডিয়ো
কুস্তিগীরদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল কৃষকরাও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2023 | 12:41 AM

নয়া দিল্লি: সোমবার (৮ মে), দিল্লি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যন্তর মন্তরে অবস্থানরত কুস্তিগিরদের সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দিলেন দেশের কৃষকদের একাংশ। এদিন, কুস্তিগিরদের ধর্নাস্থলে কৃষকরা আসবেন বলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। যন্তর মন্তর সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বসানো হয়েছিল একাধিক ব্যারিকেড। কিন্তু, এতকিছু করেও প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সঙ্গে কৃষকদের যোগ দেওয়া আটকানো যায়নি। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান কৃষকরা। যৌন হয়রানির অভিযোগে ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে অবস্থান করছেন কুস্তিগিররা। প্রসঙ্গত, গত শনিবারই ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কুস্তিগিরদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের ঘোষণা করেছিল যৌথ কিষাণ মোর্চা বা এসকেএম।

তাদের সেই ঘোষণা মতো, রবিবারই পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশ থেকে এসকেএম-এর বেশ কয়েকজন পদস্থ নেতা যন্তর মন্তরে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন অন্তত কয়েকশো কৃষকের প্রতিবাদস্থলে যাওয়ার কথা ছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের ব্যারিকেড খালি হাতেই সরিয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা। দেখা যায়, কয়েকজন কৃষক মিলে সেই সব ব্যারিকেড সরিয়ে দিচ্ছেন, আর অন্যরা বাধা টপকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এক পর্যায়ে একদল কৃষক যৌথভাবে হাত লাগিয়ে গোটা ব্যারিকেডটিই তুলে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।

তবে, কুস্তিগিরদের প্রতিবাদে কৃষকদের যোগ দিতে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি বলেই দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের দাবি, তারাই কৃষকদের নিরাপত্তা দিয়ে যন্তর মন্তরে নিয়ে গিয়েছে। তবে, কৃষকদের মধ্যে কয়েকজনের ধর্নাস্থলে পৌঁছানোর জন্য তাড়া ছিল। তারাই ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, যন্তর মন্তরে বিক্ষোভরত কুস্তিগিরদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ব্যারিকেডগুলি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কয়েকজন কৃষক তা সরিয়ে দেয়। যন্তর মন্তরের বিক্ষোভকারীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত বিক্ষোভস্থলে যেতে ইচ্ছুকদের ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওযা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে অনুরোধ করেছে দিল্লি পুলিশ।

দীর্ঘদিন ধরে যন্তর মন্তরে কুস্তিগিররা প্রতিবাদ জানিয়ে গেলেও, এখনও ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করেনি দিল্লি পুলিশ। এই অবস্থায় কুস্তিগিরদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। প্রসঙ্গত এই মোর্চার নেতৃত্বেই দিল্লিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন দেশের কৃষকরা। যার জেরে কৃষি আইন প্রবর্তন করেও, ফিরিয়ে নিতে হয়েছিল মোদী সরকারকে। কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়ে, ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে কিষাণ মোর্চা। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকা-সহ মোট ৭জন মহিলা কুস্তিগির যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। ২৮ এপ্রিল সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।

এদিকে, নিজেকে ফের একবার নির্দোষ বলে দাবি করে ব্রিজভূষণ জানিয়েছেন, কুস্তিগিরদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে ভুল করছেন কৃষকরা। শনিবার রাতে এক ভিডিয়ো পোস্ট করে কৃষক নেতাদের উদ্দেশে ব্রিজভূষণ বলেন, “আমি বলছি না যে আপনাদের দিল্লিতে আসা উচিত নয়। আপনারা দিল্লি আসতে পারেন এবং যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। প্রথম দিন থেকেই আমি বলছি, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে, আমি গলায় দড়ি দেব। আপনাদের গ্রামে যদি কোনও মেয়ে কুস্তি করে, তাহলে তাদের জিজ্ঞাসা করুন, যদি এই অভিযোগগুলিই ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর পরিচয় হয়, তাহলে আপনারা যা ইচ্ছে তাই করুন। তদন্ত শেষ হলে, আমি আপনাদের খাপ পঞ্চায়েতের সামনে আসব। যদি আমি দোষী হই, তাহলে আমাকে জুতো মেরে মেরে ফেলবেন।”