Farmers Protest likely to end: কেন্দ্রের লিখিত প্রতিশ্রুতিতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ভরসা, আন্দোলন প্রত্যাহারের পথে কৃষকরা?

Written Assurance for Farmers: কৃষকদের বেশিরভাগ দাবি দাওয়াই কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে। এই নিয়ে সরকারের থেকে বিক্ষোভরত কৃষকদের লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Farmers Protest likely to end: কেন্দ্রের লিখিত প্রতিশ্রুতিতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ভরসা, আন্দোলন প্রত্যাহারের পথে কৃষকরা?
আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন কৃষক নেতারা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2021 | 5:20 PM

নয়া দিল্লি : অবশেষে আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসছেন বিক্ষুব্ধ কৃষক নেতারা। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। কৃষকদের বেশিরভাগ দাবি দাওয়াই কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে। এই নিয়ে সরকারের থেকে বিক্ষোভরত কৃষকদের লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই প্রতিশ্রুতির তালিকায় ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও রয়েছে। আর এর পরই শোনা যাচ্ছে প্রায় ১৫ মাস ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন কৃষক নেতারা।

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, কৃষক সংগঠনগুলির কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি খড়কুটো পোড়ানো সহ সমস্ত পুলিশি মামলাগুলিও প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। সূত্র মারফত অন্তত এমনটাই জানা গিয়েছে। কৃষকরা এই প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছেন।

যদি তারা এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই কৃষকরা এই আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন। প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়েছে সংসদ ভবন। বিরোধীদের কথা মতো, আন্দোলন চলাকালীন প্রায় 700 জনেরও বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হওয়ার পর তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কৃষকদের একটি অংশ বিক্ষোভ শুরু করেছিল। আইন পাশের বিরোধিতা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা একাংশ। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার বিক্ষোভরত কৃষকদের এই আইনগুলির সুবিধার কথা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরই মধ্যে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই হয়তো এই কথাটি অজানা যে, আমাদের দেশের ১০০ জন কৃষকের মধ্যে ৮০ জনই ছোট কৃষক। তাদের কাছে দুই হেক্টরেরও কম জমি রয়েছে। এই ছোট কৃষকদের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। আমরা কৃষকদের উন্নয়ন ও মঙ্গল কামনাতেই সয়েল হেলথ কার্ড, ইউরিয়া, উন্নত মানের বীজ প্রদান করে কৃষিকাজে যথাসাধ্য় সাহায্য করেছি। ফসল বীমা যোজনার অধীনে আরও কৃষকদের আনা হয়েছে। এরফলে বিগত চার বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কৃষকরা।”

দেশের অন্নদাতা যারা, তারাই আর্থিক কষ্টে ভোগেন। এই দুর্দশা দূর করতেই বাকি প্রকল্পগুলির মতোই কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে এবং সরাসরি ক্রেতার কাছে ফসল বিক্রির সুবিধা দিতেই এই কৃষি আইন আনা হয়েছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের কৃষক, বিশেষত ছোট কৃষকরা যাতে নায্য দামে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই আইন আনা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: LPG Cylinder: রান্নার গ্যাস নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার