২৫ দিনে পড়ল অন্নদাতাদের আন্দোলন, আজ ‘শহিদ’ স্মরণ কৃষকদের
'এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই', প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি কৃষকদের।
নয়া দিল্লি: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের অবস্থান রবিবার ২৫ দিনে পড়ল। ক্রমেই সর্বাত্মক হচ্ছে এই আন্দোলন। নিজেদের দাবিতে অনড় অন্নদাতারা। কনকনে শীতের কামড় সহ্য করেও রাজধানীর রাজপথে অবস্থানে বসেছেন তাঁরা। দাবি না মানা হলে এবার গাজিপুর সীমানা অবরুদ্ধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি কৃষক সংগঠনগুলির। এদিকে শনিবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, সহায়ক মূল্য নিয়ে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র কৃষকদের ভুল পথে চালিত করছে। নয়া তিন কৃষি আইনেও সহায়ক মূল্যের কথা বলা আছে। কৃষকদের সবরকম স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখেই এই আইন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতনে শাহ, সফর ঘিরে নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী
কৃষক প্রতিনিধিদের দাবি, অধিকার বুঝে নেওয়ার এই লড়াইয়ে গত নভেম্বর থেকে এখনও অবধি ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ঠান্ডাতে পঞ্জাবের এক কৃষকও প্রয়াত হয়েছেন। প্রতিবাদস্থলে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করেছেন সহযোদ্ধারা। রবিবার ২০ ডিসেম্বর এই কৃষকদের আত্ম বলিদানকে স্মরণ করে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। ‘শহিদ দিবস’ পালন করবেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: শাহের সফরের আগে উত্তপ্ত বোলপুর, পুড়ল তিন বিজেপি কর্মীর দোকান
এই আন্দোলনকে ‘রাজনৈতিক’ বলে ইতিমধ্যেই রব তুলেছেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি এই ‘মিথ্যা দোষারোপের’ তীব্র নিন্দা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দেশের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও লিখেছে তারা। বলেছে, এ আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়, কৃষকদের লড়াই।
এএনআই জানিয়েছে হিন্দিতে লেখা হয়েছে ওই চিঠিটি। সেখানে কৃষক প্রতিনিধিরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সত্যিটা হল কৃষকদের এই লড়াই রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের মত বদলাতে বাধ্য করেছে। অথচ আপনি (প্রধানমন্ত্রী) দাবি করছেন এই আন্দোলনে রাজনৈতিক মদত আছে। এটা একদমই সত্যি নয়। আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি কোনও রাজনৈতিক দলের ছাতার তলায় নেই।’