‘অধিবেশন কীভাবে হয়, সরকারকে শেখাবে কৃষকরা’, বার্তা তিকাইতের, আলোচনায় রাজি কৃষিমন্ত্রীও

Farmers protest at Jantar Mantar: কৃষকদের আন্দোলন কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে একাধিক রাস্তাও।

'অধিবেশন কীভাবে হয়, সরকারকে শেখাবে কৃষকরা', বার্তা তিকাইতের, আলোচনায় রাজি কৃষিমন্ত্রীও
যন্তর মন্তরে যাওয়ার পথে পুলিশকর্মীকে আশির্বাদ বৃদ্ধ কৃষকের। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 2:58 PM

নয়া দিল্লি: সংসদ অধিবেশন কীভাবে হয়, তা সরকারকে শেখাতেই যন্তর মন্তরে বসেছে কিসান সংসদ। থাকছে স্পিকার, সদস্য- সকলেই। সংসদের নিয়ম মেনেই থাকবে চা বিরতিও। পার্থক্য শুধু একটাই- এই সংসদে আলোচ্য বিষয় শুধুই কৃষি আইন ও তা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা। দিল্লি পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেই সিংঘু সীমান্ত থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে পৌঁছলেন আন্দোলনকারী ২০৬ জন কৃষক।

বুধবারই দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে কৃষি আইন নিয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলনের অনুমতি পেয়েছে কৃষকরা। পায়ে হেঁটে সীমান্ত থেকে সংসদ ভবন অবধি যাওয়ার আবেদন জানালেও পুলিশের জোগাড় করে দেওয়া বাস ও এসইউভি গাড়িতে করেই এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ যন্তর মন্তরে এসে পৌঁছন। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত বলেন, “কৃষকরাও নিজেরা সংসদ অধিবেশন বসাতে পারেন। আট মাস আগে ওনারা (কেন্দ্র) আমাদের কৃষক বলেও ভাবতেন না। অন্তত এখন আমাদেুর কৃষক ভাবছেন। সরকার কেবল নিজেদের শর্তে কথা বলেন।”

এ দিকে, কৃষকদের গলায় আইডি কার্ড পরার নির্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে গুণ্ডামির কী সম্পর্ক? আমরা কী গুণ্ডা? আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে কোনও কৃষকরা লুকিয়ে গাজিপুর সীমান্ত থেকে লুকিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করবে না। দিল্লি পুলিশ যে রাস্তা স্থির করে দিয়েছে, সেই রাস্তাই অনুসরণ করব আমরা। যত দিন অধিবেশন চলবে, ততদিনই আমরা কিসান পঞ্চায়েত চালু রাখব।”

অন্যদিকে, সংসদের ভিতরেও কৃষি আইন নিয়ে কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ ভবনের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, “নতুন কৃষি আইন কৃষকদের পক্ষে লাভজনক। যদি কৃষকরা নিজেদের সমস্যার কথা বলেন, তবে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। মোদী সরকার কৃষক দরদী সরকার, এই বিষয়ে আমরা আগেও কথা বলেছি কৃষকদের সঙ্গে।”

কৃষকদের আন্দোলন কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে একাধিক রাস্তাও। ছাট্টা রেল থেকে সুভাষ মার্গ অবধি দুই লেনের রাস্তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া শান্তিবন থেকে সুভাষ মার্গ অবধি রাস্তা বন্ধ থাকবে। কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে দিল্লির মেট্রো স্টেশনগুলিতেও। আরও পড়ুন: পেগাসাস কাণ্ডে তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে, মমতার করজোড়ে আবেদনই কি কাড়ল নজর?