অনড় কৃষকরা, সরকারের থেকে লিখিত বিবৃতি দাবি
'পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ, কেরল, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ বা অন্যান্য রাজ্যের পৃথক কৃষক সংগঠন হতে পারে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হবে এক মঞ্চ থেকে। আমাদের প্রতিবাদের সুর একটাই।'
দিল্লি: কোন কোন ক্ষেত্রে আপনারা সহমত। লিখিত দিন। পঞ্চম দফা বৈঠকের পর কেন্দ্রের কাছে এমনটাই প্রস্তাব দিলেন কৃষক-প্রতিনিধিরা। নতুন তিন কৃষি আইন রদের দাবিতে গত ১০ দিন ধরে উত্তাল দিল্লি। রাজধানীর বিভিন্ন সীমানা প্রতিবাদ মুখর। হাজার হাজার কৃষক রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এর আগে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে চার দফায় বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র। লাভের লাভ কিছুই হয়নি। শনিবার পঞ্চমবারের জন্য মুখোমুখি হয় দুই পক্ষ। বিজ্ঞানভবনে বসে বৈঠক।
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিলে গুলি, রণক্ষেত্র আসানসোল
During 5th round of talks at Vigyan Bhawan, farmers’ representatives asked the Central Govt to give a pointwise written reply of the last meeting, to which the govt has agreed https://t.co/EzZgHcoHTr
— ANI (@ANI) December 5, 2020
কেন্দ্র সরকারের তরফে প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সূত্রের খবর, সেখানেই কৃষক-প্রতিনিধিদের তরফে দাবি তোলা হয়, সর্বশেষ বৈঠকে কোন কোন সিদ্ধান্তে কেন্দ্র সরকার সিলমোহর দিল তা লিখিত দিতে হবে। তাঁরা বলেন, এভাবে আর আলোচনা চান না। এবার একটা সমাধান হওয়া দরকার। কৃষকদের দাবি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে এবার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: কৃষক-কেন্দ্র বৈঠকের আগে মোদীর বাসভবনে শাহ, রাজনাথ
Farmers resolve to have one stage-one morcha and one voice ahead of talks with centre. Scrap the #farmacts or we will walkout, said Jagmohan Singh Patiala working committee member of #AIKSCC #FarmersProtest pic.twitter.com/rxxr8PIn4f
— raakhijagga (@raakhijagga) December 5, 2020
During the fifth round of talks with the Central Government, at Vigyan Bhavan, farmers said that they need a solution/commitment. They said that they don’t want further discussion and want to know what has the government decided on the farmers’ demand.
— ANI (@ANI) December 5, 2020
আরও এক ধাপ এগিয়ে অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি (AIKSCC)-র তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, তিনটি কৃষি আইন রদ করা না হলে কৃষকরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন। কৃষক নেতা জগমোহন সিং পাতিয়ালার কথায়, “পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ, কেরল, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ বা অন্যান্য রাজ্যের পৃথক কৃষক সংগঠন হতে পারে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হবে এক মঞ্চ থেকে। আমরা একটাই মোর্চা। আমাদের একই কন্ঠ। আমাদের দাবিটাও এক, এই আইনের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একসঙ্গে সরব হতে হবে।” এই কৃষক নেতার কথায়, একাধিক কৃষক সংগঠন আলাদা মঞ্চে প্রতিবাদ করলেও সকলের উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই।