‘করোনা কার্ফু’, ‘টিকা উৎসব’, ‘মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন’, করোনা রুখতে ৩ দাওয়াই মোদীর

প্রত্যেক রাজ্যকে ৭০ শতাংশ আরটি-পিসিআর করোনা পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন নমো (Narendra Modi)

'করোনা কার্ফু', 'টিকা উৎসব', 'মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন', করোনা রুখতে ৩ দাওয়াই মোদীর
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Apr 08, 2021 | 10:33 PM

নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রোখার পথ ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেখানে একাধিক বিষয়ে বার্তা দেন নমো। মুখ্যমন্ত্রীদের নিজ নিজ রাজ্যে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োনে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে করোনা রোজ নিজের রেকর্ড ভাঙছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বকালের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। স্রেফ একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কী বার্তা দেন নমো? সে দিকেই তাকিয়েছিল গোটা দেশ।

বৈঠকে লকডাউনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন গড়ে করোনা ঠেকানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যাবতীয় গুরুত্ব দিতে হবে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োনের ওপর।” ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পঞ্জাব-সহ বেশ কিছু রাজ্যে জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু। সারা দিন লকডাউনের পরিবর্তে নৈশ কার্ফুতেই জোর দিতে বলেন নমো। তিনি বলেন, “সারা বিশ্ব নৈশ কার্ফুকে মেনে নিয়েছে। কার্ফু থাকলে মানুষ মনে করে করোনা রয়েছে। তাই নৈশ কার্ফুকে করোনা কার্ফু নাম দেওয়া উচিত।” প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই নামে করোনাকালে কার্ফু মানুষের মনে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে।

প্রত্যেক রাজ্যকে ৭০ শতাংশ আরটি-পিসিআর করোনা পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন নমো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটাই ভাইরাস চিহ্নিত করার একমাত্র উপায়।” যেহেতু এখন বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তরাই অ্যাসিম্পটমেটিক অর্থাৎ উপসর্গহীন তাই করোনা পরীক্ষা দ্রুত এবং করোনা আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশে জোরকদমে টিকাকরণ হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আরও দ্রুত টিকাকরণের জন্য ‘টিকা উৎসব’ পালন করার আর্জি জানান। ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল দেশে ‘টিকা উৎসব’ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এর আগে রবিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সে বার করোনা বিধ্বস্ত ৩ রাজ্য, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও ছত্তীসগঢ়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মোদী।

আরও পড়ুন: এক বস্তা ডিএপির দাম ১৯০০ টাকা, ইফকোর মূল্যবৃদ্ধিতে মাথায় হাত কৃষকদের