Om Prakash Chautala : আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির মালিক, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ
Om Prakash Chautala : হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত। তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি : হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় শুক্রবার তাঁর এই সাজা ঘোষণা করা হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। গত ২১ মে এই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন তাঁর চূড়ান্ত সাজা ঘোষণা করা হল। জরিমানা ও কারাদণ্ডের সঙ্গে চৌটালার চারটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ বিচারপতি বিকাশ ধুল।
গত সপ্তাহেই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল হরিয়ানার এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। আদালত জানিয়েছিল, ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ এই সময়কালে তাঁর কাছে থাকা বিপুল সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে কোনও আলোকপাাত করতে পারেননি অভিযুক্ত। ২০০৫ সালে ওম প্রকাশ চৌটালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। ২০১০ সালের ২৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সংস্থা। চার্জশিটে বলা উল্লিখিত রয়েছে, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাঁর ৬.০৯ কোটি টাকার সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর আয়ের কোনও সঙ্গতি নেই। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দিল্লি আদালক চৌটালার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলাও করে। এদিকে শুক্রবার সাজা শোনানোর আগেই নিজের ৮৭ বছর বয়সী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজের বার্ধক্য ও শারীরিক অবস্থার উদাহরণ দিয়ে সবচেয়ে কম সাজার আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতের কাছে। কিন্তু সিবিআই এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে আদালতের কাছে। তাদের যুক্তি, সমাজে তাহলে একটি বার্তা যাবে এবং এরকম আর্থিক তছরুপি করার আগে কেউ দু’বার ভাববেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল ওম প্রকাশ চৌটালার। ২০১৩ সালে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে বেআইনিভাবে নিয়োগ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য়, ১৯৯৯ সালের ২৪ জুলাই থেকে ২০০৫ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের এই নেতা।