Kapil Sibal on Rahul Gandhi: ‘রাহুলের সাংসদ পদ খোয়ানো উচিত’, আইনি ব্যাখ্যা দিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবল

Modi Surname Controversy: আইনের ব্যাখ্যা করে কপিল সিবল বলেন, "আইনে বলা হয়েছে যদি সংসদের কোনও সদস্যকে কোনও অপরাধের জন্য দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়, তবে তাঁর আসন শূন্য হয়ে যাবে। সাধারণত স্পিকার আইন মেনেই সদস্যপদ খারিজের সিদ্ধান্ত নেন।"

Kapil Sibal on Rahul Gandhi: 'রাহুলের সাংসদ পদ খোয়ানো উচিত', আইনি ব্যাখ্যা দিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবল
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খোয়ানো নিয়ে মুখ খুললেন কপিল সিবল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 3:15 PM

নয়া দিল্লি: মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে করা বিতর্কিত মন্তব্য়ের জন্য় মানহানি মামলায় বৃহস্পতিবার সুরাট আদালতের তরফে রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দুই বছরের সাজাও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। আপাতত ৩০ দিনের জামিন পেলেও, নতুন সমস্য়ায় পড়েছেন রাহুল। খারিজ হয়েছে তাঁর সংসদের সদস্যপদ (Member of Parliament)। এই নিয়ে গতকাল থেকেই নানা রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে আইন বিশেষজ্ঞরা নানা মত রেখেছেন। এবার রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিবল (Kapil Sibal)। তিনি জানান, সুরাট আদালতের রায়ের পর আইন অনুযায়ী আপনা-আপনিই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত। একই সঙ্গে তিনি আদালতের এই রায়কেও ‘অদ্ভুত’ বলে উল্লেখ করেছেন।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “সমস্ত চোরেদের পদবী মোদী হয় কেন? তা সে নীরব মোদীই হোক বা ললিত মোদী, কিংবা নরেন্দ্র মোদী”। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সুরাট আদালতে মামলা দায়ের করেন গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী। গতকাল সুরাট আদালতের তরফে রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ৩০ দিনের জন্য জামিন পেয়ে যান। এই রায়কে চ্যালেঞ্জও করতে পারবেন রাহুল।

গতকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে দুই বছরের সাজা হওয়ার কারণে রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হতে পারে। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল দেশের অন্যতম প্রবীণ ও বিশিষ্ট আইনজীবী। তিনিও জানান, আইন অনুযায়ী রাহুলের সদস্য়পদ খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত। তিনি বলেন, “আদালত যদি শুধু রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ দেয়, তা যথেষ্ট নয়। আদালতের রায় বাতিল বা তার উপরে স্থগিতাদেশ দিতে হবে। যদি আদালত রাহুলের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সাজার উপরে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে, তবেই তাঁর সংসদে সদস্যপদ থাকতে পারে।”

আইনের ব্যাখ্যা করে কপিল সিবল বলেন, “আইনে বলা হয়েছে যদি সংসদের কোনও সদস্যকে কোনও অপরাধের জন্য দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়, তবে তাঁর আসন শূন্য হয়ে যাবে। সাধারণত স্পিকার আইন মেনেই সদস্যপদ খারিজের সিদ্ধান্ত নেন।”

তবে সুরাট আদালতের রায়কেও অদ্ভুত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “কোনও এক ব্যক্তিকে নিয়ে করা কোনও মন্তব্যের ভিত্তিতে যদি কাউকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা অত্য়ন্ত অদ্ভুত”। বিজেপির তরফে গোটা মোদী সম্প্রদায়কে অপমানের কথা বলা হয়েছে, তার বিরোধিতা করে কপিল সিবল বলেন, “কীসের সম্প্রদায়? এটা একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ করে বলা হয়েছিল। ওরা (বিজেপি) যা খুশি বলতেই পারে, আমি বলছি রাহুলের ওই মন্তব্য কেবল ব্যক্তি আক্রমণ ছিল।”