Wrestling Me Too Case: ‘#MeToo’ মামলায় বড় মোড়, কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন ববিতা ফোগট

Physical Harassment Case: কুস্তিগীর ববিতা ফোগটের দাবি, তদন্ত নিয়ে তাঁর  বেশ কিছু অভিযোগ ছিল, কিন্তু তাঁকে চূড়ান্ত রিপোর্টও সম্পূর্ণ পড়তে দেওয়া হয়নি। তার আগেই রিপোর্ট ছিনিয়ে নেন কমিটির সদস্য় রাধিকা শ্রীমান।

Wrestling Me Too Case: '#MeToo' মামলায় বড় মোড়, কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন ববিতা ফোগট
ববিতা ফোগট। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2023 | 1:30 PM

নয়া দিল্লি: মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে উত্তাল রাজধানী। বিক্ষোভে পথে বসেছেন পদকজয়ী কুস্তিগীররা। শাস্তির দাবি করা হয়েছে রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রীজভূষণ সরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Saran Singh)। তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের প্রশিক্ষণের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টেও গড়িয়েছে বিষয়টি। এবার কেন্দ্রের তৈরি করে দেওয়া তদন্তকারী কমিটির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন কুস্তিগীর ববিতা ফোগট (Babita Phogat)। মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেন, রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রীজভূষণের বিরুদ্ধে আনা যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে যে তদন্ত করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ পড়ার আগেই রিপোর্ট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তদন্তকারী কমিটির সদস্য রাধিকা শ্রীমান (Radhica Sriman)। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাধিকা।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্রীজভূষণ সরণের বিরুদ্ধে প্রথমবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ ও তার জেরে কুস্তিগূরদের বিক্ষোভের পরই কেন্দ্রের তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্তকারী কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। কমিটির প্রধান ছিলেন পদকজয়ী বক্সার মেরি কম। পরে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিতে কুস্তিগীর ববিতা ফোগটকেও যুক্ত করা হয়।  তদন্ত শুরুর এক মাসের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হলেও, পরে ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে তদন্তকারী প্যানেল রিপোর্ট জমা দেয়। এই রিপোর্ট ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

কুস্তিগীর ববিতা ফোগটের দাবি, তদন্ত নিয়ে তাঁর  বেশ কিছু অভিযোগ ছিল, কিন্তু তাঁকে চূড়ান্ত রিপোর্টও সম্পূর্ণ পড়তে দেওয়া হয়নি। তার আগেই রিপোর্ট ছিনিয়ে নেন কমিটির সদস্য় রাধিকা শ্রীমান। ববিতা বলেন, “চূড়ান্ত রিপোর্টের আমি মাত্র কয়েক পাতা পড়েছিলাম। আমার বেশ কিছু আপত্তি ছিল রিপোর্ট নিয়ে কিন্তু রাধিকা শ্রীমান এসে আমার হাত থেকে রিপোর্ট ছিনিয়ে নেন। তিনি আমায় বলেন যে আন্দোলনকারী বীনেশ ফোগট ও আমি যেহেতু একই পরিবারের, তাই আমি রিপোর্ট পড়তে পারব না।”

ববিতার আরও অভিযোগ, “ও (রাধিকা) চেয়ারম্যান মেরি কমের হয়ে কাজ করছিলেন। ও আমায় বলে যে চেয়ারম্যান ইতিমধ্য়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।”
ববিতার দাবি নিয়ে রাধিকা শ্রীমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি কেন এরকম কাজ করব? এতে আমার কী লাভ হবে? ববিতা ৪-৫ বার রিপোর্ট পড়েছিলেন এবং রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে সম্মতিও জানিয়েছিলেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা প্রত্যেকটা শব্দ তাঁকে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। রিপোর্টে যা কিছু লেখা রয়েছে, তা সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতেই লেখা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়ো রেকর্ড করা, তাই কারচুপির সুযোগ নেই। আমি যদি রিপোর্ট ছিনিয়ে নিই, তাহলে ও সেটা নিয়ে লেখেনি কেন?”

গত ৪ এপ্রিল যখন তদন্তকারী কমিটির তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়, সেই দিন হাজারো অনুরোধ করা সত্ত্বেও ববিতা আসেননি বলেই অভিযোগ করেন রাধিকা।