Physical Harassment: টাকা ধার নিয়েছিল স্বামী, স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে ‘শোধ’ নিয়ছিল বন্ধুরা!
যদিও অভিযোগ, সে সময় গণধর্ষণের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ। এমনকি স্বামী ও তাঁর বন্ধুরা মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাজিয়াবাদ: দুই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিতে পারেননি। টাকা শোধ করতে তাঁর উপর অত্যাচার করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন গাজিয়াবাদের ফ্যাশন ব্লগার। ওই মহিলা অভিযোগ করেন, ধারের টাকা শোধ করতে স্বামীর সহায়তায় তাঁকে অপরহণ করে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামীর বন্ধুরা। তার পর তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মৃত্যুর তিন মাসে আগে এ রকমই অভিযোগ করেছিলেন গাজিয়াবাদের ফ্যাশন ব্লগার। যদিও অভিযোগ, সে সময় গণধর্ষণের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ। এমনকি স্বামী ও তাঁর বন্ধুরা মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আগ্রার একটি ফ্ল্যাট থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করা হয় ওই ব্লগার। তাঁর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, পুলিশ সময়ে অভিযোগ দায়ের করতে প্রাণে বাঁচতেন ওই ব্লগার।
মৃত ব্লগারের ভাই বলেছেন, “পুলিশ যদি সময়ে অভিযোগ নিত, তাহলে আমার দিদিকে মরতে হত না। গণধর্ষণের অভিযোগ সে সময় সিরিয়াসলি নেয়নি পুলিশ।” প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে স্বামী এবং তাঁর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে অপরহণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। যদি সে সময় তদন্ত না করে মামলা দায়ের করতে অস্বীকার করে পুলিশ। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তার পর ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তুন্ডলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই এফআইআর-এ মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, “আমি যখন ফিরোজাবাদে এক জনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম তখন স্বামী এবং তাঁর বন্ধুরা আমাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায় এবং গণধর্ষণ করে। আমি স্বামীর থেকে আদালা থাকি। সে প্রায়ই আমাকে মারধর করত। এক জন লোভী ব্যক্তি।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে ফিরোজাবাদের পুলিশ সুপার বলেছেন, “কোনও মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ করলে তা নিতে পুলিশ বাধ্য। কিন্তু ওই মহিলা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেননি। পরে তদন্তে দেখা গিয়েছিল অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদিও আদালতের নির্দেশের পর অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।”